"যেভাবে তৃণমূলের (TMC) মন্ত্রী সাংসদ আর নেতারা দল ছাড়ার জন্য ফোন শুরু করেছেন তাতে চলতি মাসের ৩১ তারিখে বাংলার এই সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে", দাবি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডলের (Sunil Kumar Mondal)। রবিবার দুর্গাপুরের কাঁকসার বাড়িতে ফেরেন তিনি। বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে এইদিন নিজের বাড়িতে ঢোকেন সুনীলবাবু। এদিন বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে চায় পে চর্চায় যোগ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। দাবি করেন, "জানুয়ারি মাসেই তৃণমূল কংগ্রেসে ধস নামবে, আর ৩১শে জানুয়ারি রাজ্যের তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে।" তাঁর আরও দবি, "সামনের নির্বাচনে ঘাস ফুলের প্রতীকে কাউকে দাঁড় করানোর জন্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।"
এদিন এই ধরনের কথা শোনা যায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর গলাতেও। মধ্যমগ্রামে এক চায় পে চর্চায় যোগ দিয়ে অর্জুন দাবি করেন, "জানুয়ারির মধ্যেই সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখোমুখি হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনেক তৃণমূল বিধায়ক তাঁদের দলকে বিদায় জানাবেন। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়করা দল ছাড়ার জন্য তৈরি। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই জানুয়ারিতে সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখোমুখি হবে সরকার।" অর্জুন আরও বলেন, "তারপর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কি না জানি না। তবে সঙ্কট তৈরি হলে সরকার টিকবে না তা নিশ্চিত।"
অন্যদিকে এদিন পিকের আই প্যাক বাহিনীকেও এক হাত নেন সুনীলকুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, "একজন ব্যাপারীর কাছে আমাদের রাজনীতি শিখতে হবে! কী করবো আর কী করবো না সেটাও ওরা ঠিক করে দিচ্ছিল, এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না।" ভিতরের এই যন্ত্রনা থেকে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা দল ছাড়বেন বলে এদিন দাবি করেন সুনীল।