কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। তার পরেই পুরনো প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে অভিষেককে বিঁধলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ম্যাডাম নারুলা থেকে শুরু করে অভিষেকের ফাঁসি নিয়ে করা মন্তব্য, এদিন সব কিছু তুলেই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না এই বিজেপি নেতা। কান টানলে মাথা আসবে বলে কটাক্ষ করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
কী বললেন শুভেন্দু
শুভেন্দু বলেন, এজেন্সি তার নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত চালাবে। সেটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আসানসোলে সবাই জানে লালার টাকা কে নিত। সেই টাকা সব তোলাবাজ ভাইপোর বাড়িতে গিয়েছে। আমি একটা সভাতে বলেছিলাম, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি ব্যাঙ্কে টাকা জমা পড়ত। বারুইপুরে সভাতে আমি কাগজ দেখিয়েছি। ম্যাডাম নারুলাটা কে ক্রমশই প্রকাশ্যে। মিডিয়াতে দেখলাম ওনার স্ত্রী হচ্ছেন ম্যাডাম নারুলা। লালাবাবুর সবার টাকা ব্যাঙ্কে গিয়েছে। সভাতে বড় বড় কথা বলছিল, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যারা যাচ্ছেন, তারা নাকি ওয়াশিং মেশিন। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার কবে একটা জানো কথা ছিল! বলেছিল আমি হাঁটতে হাঁটতে ফাঁসির মঞ্চে যাব। আমরা অপেক্ষা করে আছি। আমরা ফাঁসি চাই না। মানুষ দেখুক কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে। আসানসোল, জামুরিয়া ও বারাবনি এই এলাকায় বেআইনি কয়লা জনজীবনতে বিধস্ত করে দিয়েছে। যে কোনওদিন এই এলাকা ধসে যেতে পারে। এই অন্যায় যেটা করেছে, সেটি পাপের শাস্তি হবে।
আরও পড়ুন, কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেকের বাড়িতে CBI, রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ
কী বললেন বাবুল
বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আমি অনেকদিন আগেই সবার নামে বলেছিলাম। তারপর তো আমার বিরুদ্ধে কেস হয়েছে। এদের মান নেই, সম্মান নেই। সিবিআই, ইডি, এনআইএ যখন তদন্ত করে, তখন এদের কাছে প্রচুর প্রমাণ থাকে। সেই প্রমাণ আদালতে পেশ করে। আইন নিজের পথে চলে। এখন ঠিক জায়গায় পৌঁছেছে, কান টানলে মাথা আসতই। সঠিক মাথার কাছে গেছে। একটা রোমহর্ষক বিষয় সামনে এল।
অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই
প্রসঙ্গত, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে যান সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে গরুপাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এরপরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত,চলতি মাসের শুরুতেই শুভেন্দু এক জনসভায় বলেছিলেন, তৃণমূল মানেই এনামুল, গরু চোর। একজন জয় শ্রী রাম শুনলেই রেগে যাচ্ছে, অপরজন তোলাবাজ শুনলেই রেগে যাচ্ছে। বলছে ঘুষখোর শুভেন্দু, ওরা প্রমাণ করতে পারবে। আমি সেদিন বলেছিলাম কয়লার লালার টাকা কোথায় কোথায় যায়, থাইল্যান্ডে যায়, সেখানকার রাজধানী ব্যাংককে যায়। সেখানে একটি ব্যাঙ্কে যায়। ভালো করে স্টাডি করুন। ম্যাডাম নারুলাটা কে। গত লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিলেন যিনি, তিনি ম্যাডাম নারুলা। বাকিটা বুঝে নিন।