"মাননীয়ার উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই ঘটেছে এই ঘটনা, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে আধা সামরিক বাহিনী।" দমদমে (Dumdum) দলীয় প্রার্থী বিমলশঙ্কর নন্দর সমর্থনে রোড শোয়ে অংশ নিয়ে এমনটাই বললেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, "মাননীয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার কথা বলেছিলেন। আজ দেখা গেল কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করা হল এবং তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হল। নিজেদের বাঁচাতেই গুলি চালিয়েছেন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা।" অন্যদিকে নতুন ভোটারের মৃত্যুতেও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। ওই ভোটারকে তাঁদের দলের কর্মী বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, "আনন্দ বর্মন আমাদের কর্মী এবং রাজবংশী পরিবারের ছেলে। তৃণমূলের (TMC) গুন্ডারা তাঁকে খুন করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।"
চতুর্থ দফার নির্বাচনে বারেবারে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচি। মোট ৫ জনের মৃত্যু হয় এদিন। তার মধ্যে বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। যদিও আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এডিজিপি জানিয়েছেন পেট্রোলিং-এ থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। জওয়ানদের ওপরে হামলা চালানো হয়। চেষ্টা করা হয় রাইফেল কেড়ে নেওয়ার। এরপরেই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান জওয়ানরা। যার জেরে মৃত্যু হয় ৪ জনের।
প্রায় একই দাবি করা হয়েছে বাহিনীর তরফেও। জানা গেছে, স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে মিলে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট পরিচালনা করছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই এক শিশু অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপরেই উত্তেজিত জনতা জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালান হয় গাড়িতেও। প্রথমে জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে শূন্যে ৬ রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান সিআইএসএফ-এর কম্যান্ডার। উত্তেজিত জনতার সামনে চলে যান তিনি।
এর প্রায় ঘণ্টা খানেক পর প্রায় ১৫০ জনের একটি দল বুথে ভোট কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বুথে কর্তব্যরত হোমগার্ড, আশাকর্মীদেরও মারধর করা হয়। সিআইএসএফ-এর কম্যান্ডার জনতাকে সরাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। জওয়ানদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালান বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উল্টে ফের হামলা চালায় জনতা। এরপর জনতাকে সতর্ক করতে ৭ রাউন্ড গুলি চালান জওয়ানরা। কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি জনতাকে। এরপর বাধ্য হয়েই নিজেদের বাঁচাতে গুলি চালায় বাহিনী। তাতেই মৃত্যু হয় ৪ জনের।