কয়েক মাস ধরেই ডোমজুড়ের তৃণমূলের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেও ইস্তফাপত্র দেন তিনি। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কয়েক দিন আগে একটি জনসভায় রাজীব বলেন, 'যাঁরা দলে যোগ্য, কাজ করতে চায়, তাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। আর যারা ঝান্ডা হাতে স্তাবকতা করছে, তাদের তোলা হচ্ছে। দলে কর্মীরাই সম্পদ।'
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ আবেগঘন পোস্ট করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আমি আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করছি । অনেক বছর ধরে আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব ও পরিশ্রমের সাথে আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি । আমি আপনাদের প্রত্যেককে আমার বর্ধিত পরিবার হিসেবে বিবেচনা করেছি এবং আপনাদের সমর্থন আমাকে সবসময় অতিরিক্ত মাইল যেতে এবং আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে অনুপ্রাণিত করেছে, তাই আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ ঘোষণা করছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি পাশাপাশি । আশা করি আগামী বছরগুলোতে আপনাদের প্রতিটি সেবায় থাকতে পারবো সর্বোত্তম উপায়ে যেমন সম্ভব তেমনই রাজনীতিতে থাকার একমাত্র কারণ।'
Dear Friends, Hope you all are doing well. This is to inform you that I am resigning as the Minister in Charge,...
Posted by Rajib Banerjee on Thursday, 21 January 2021
অর্থাত্ হাওড়ায় তৃণমূলের আরেক নেতা লক্ষ্মীরতন শুক্লা যেমন দল ছেড়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি রাজনীতিতে থাকতে চান না। তেমন কিন্তু রাজীব করলেন না। স্পষ্ট জানালেন তিনি রাজনীতিতেই থাকছেন।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া ইস্তফাপত্রে রাজীব লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবা করতে পেরে আমি সম্মানিত। এই সুযোগ আমাকে দেওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।' ইস্তফা পত্র দিয়েই রাজীব চলে যান রাজভবনে।