বেসুরো ছিলেন আগেই। এবার তৃণমূল নেত্রীর সভায় না গিয়ে জল্পনায় হাওয়া দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। নাম না করে যা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী। কী বললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ?
বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই একাধিক বিষয় নিয়ে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন প্রবীরবাবু। সম্প্রতি কোন্নগর স্টেশন রোড থেকে ডানকুনি পর্যন্ত নৈহাটি রোডের বেহাল রাস্তার বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সেকারণে হুগলিতে তৃণমূল নেত্র্রীর আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়েছিল দলীয় কর্মীরা। অনেকেই ভেবেছিলেন,সমালোচনা করলেও সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রবীরবাবু। যদিও শেষপর্যন্ত সভায় দেখা যায়নি তাঁকে।
সূত্রের খবর, গতকাল উত্তরপাড়া ও কোন্নগরের বেশকিছু কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। গতকাল এক সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে আজকের জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্ত আজ সকালে বিধায়ক জনসভায় না গিয়ে অন্যত্র কাজে বেরিয়ে যান। এরপর থেকেই প্রবীর ঘোষালের বিজেপি যাওয়ার জল্পনা বেড়ে গিয়েছে। দলে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী,রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পথেই প্রবীর ঘোষাল? যদিও এই বিষয় এখনও পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি প্রবীরবাবু।
এদিকে পুরশুড়়ার সভা থেকে দলীয় কর্মীদের একেবারে সোজাসাপ্টা বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা তাড়াতাড়ি যান। নাহলে ট্রেন ছেড়ে দেবে। বাংলা আপনাদের চায় না। তৃণমূল আপনাদের চায় না। আর তো একমাস বাকি। এখন গিয়ে ওকানে কী পাবেন ? তৃণমূল তোমাদের টিকিট দিত না। তাই ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছ। যারা মানুষের জন্য় কাজ করেছে, তাদের তৃণমূল টিকিট দেবে। যারা মানুষের জন্য় কাজ করেনি তাদের টিকিট দেবে না।
রাজ্য় রাজনীতির ভোটচিত্র বলছে,হুগলিতে এবার বিজেপির চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে তৃণমূল। ইতিমধ্য়েই লোকসভা নির্বাচনে হুগলিতে জয়ী হয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। যে সিঙ্গুর তৃণমূলনেত্রীর মুখ্য়মন্ত্রী পদের রাস্তা প্রশস্ত করেছিল সেখানেই পিছিয়ে শাসক দল। এমনকী খোদ পুরশুড়ায় পিছিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। যা ভালেভাবেই উপলব্ধি করেছেন মমতা। তাই প্রকাশ্য় সভায় বলেছেন, আমাদের কোনও ভুল হয়ে থাকলে আমি নিজেই সেটা শুধরে নেব। হুগলির ১৮টি আসনে তৃণমূলকে জেতান।