অভিষেক বলেন, ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে পাল্টিবাজি করেছেন। আমার সঙ্গে তোমার তফাত মেরুদণ্ডের। তৃণমূল করতে গেলে বুকের দম লাগে। যদি দম না থাকে শাড়ি আর চুড়ি পরে বাড়িতে ঢুকে যাও
অভিষেক বলেন এই নেতারাই ৬ মাস আগে বলেছে বিজেপি হঠাও। এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বড় বড় কথা বলছে। মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপির হাত ধরেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল তৈরি করেছিলেন। এর নাম তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিষেক বলেন, তৃণমূল থেকে ৪টে খুচরো নেতা নিয়ে গেলে এই দল শেষ হয় না। তোমাদের বুথে বসার লোক না থাকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ি। হ্যাঁ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। কারণ ওটা অটল বিহারী বাজপেয়ির বিজেপির ছিল। ২০০২ সালের দাঙ্গার রক্ত ছিল না।
অভিষেক বলেন, গলা কেটে দিলেও আমার কাটা গলা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলবে। আমি বেইমানি করতে পারবো না।
অভিষেক বলেন, গরু পাচার হয় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে। ওখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে বিএসএফ। মূল মাথা অমিত শাহ। তাহলে কোন ভাইপো দায়ী। কয়লা খনি কার নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ। দায়িত্বে মন্ত্রী পীযুষে গোয়েল। আমার কথায় সিআইএসএফ ও বিএসএফ কাজ করলে অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত
অভিষেক বলেন. বাংলাকে বলছে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে ধরবে। এই জেলায় ৩১-০ করব। কোথাও পদ্মফুল ফটবে না। হঠাৎ করে এতো প্রেম। বলছে অমিত শাহ তোমার দাদা। ২০১৪ সালে অমিত শাহের সঙ্গে নাকি তার যোগাযোগ ছিল। করোনার মতো আমাদের দলেও উপসর্গহীন বেইমান আছে
অভিষেক বলেন, এতো ভয় কীসের আমার নাম নিতে পারেন না। এরা খেতে খুব ভালোবাসে। দিল্লিতে তে তো কৃষকরা আন্দোলন করছে। তাদের ঠেঙিয়ে তোমার দিল্লি পুলিশ। তাদের কাছে যাওযার তো সাহস নেই। সেই অমিত শাহ এসে কখনও বাঁকুড়া, কখনও মেদিনীপুরে গিয়ে খাচ্ছে
অভিষেক বলেন, টিভির পর্দায় ঘুষ খেতে তোমাদের দেখা যাচ্ছে। ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে বিজেপিতে তোমরা যাচ্ছ। আর বলছ তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। যেদিন আমার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে, আমি ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যু বরণ করব। আমার পিছনে সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর দিতে হবে না। ওদের আমি ভয় পাই না
অভিষেক বলেন, তৃণমূল থেকে পাল্টি খেয়ে নিজের শিরদাড়া বিক্রি করে পাল্টিবাজ নেতা আমায় আক্রমণ করছে, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। আরে নারদায় তো তোমাকে দেখা গিয়েছে। টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তোলাবাজ তো তুমি। সারদায় তো তোমার নাম রয়েছে। আমি সারদাতেও নেই, নারদাতেও নেই
অভিষেক বলেন, দুটো বিধানসভায় ৩ হাজার স্ট্যান্ডপোস্ট করা হচ্ছে। অনেকের হিংসা হয় ডায়মন্তহারবারে বেশি কাজ হয় বলে। এখন অনেকে পাল্টিবাজি করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপিতে নেতা পড়েছে।। এখন তৃণমূল থেকে নিয়ে গিয়ে আক্রমণ করছেন।
ক্ষমতা থাকলে আমার নাম নিয়ে আক্রমণ করে দেখান। ১ মাস পেরিয়ে গেছে এখনও কেউ নাম নিয়ে আক্রমণ করেনি। আমি তো নাম ধরে বলেছি, দিলীপ ঘোষ গুণ্ড। দিলীপ ঘোষ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোটে। যে ভেঙে দেব-গুড়িয়ে দেহ বলে, সে আবার আমার বিরুদ্ধে মামলা করছে। আইনত লড়াই হোক না, কত ধানে কত চাল বুঝিয়ে দেব।
অভিষেক বলেন, ৫ বছর সাংসদদের বেতন বন্ধ করে দিন। মানুষের উন্নয়নে জন্য কাজ করুন । বছরে ২২০ কোটি টাকার ফান্ড বন্ধ। মোদীবাবু প্রচারে যাবেন তখন করোনা আসে না। ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিমান কিনছেন তখন করোনা আসে না। আপনি সাংসদ থাকলে এক পয়সাও বেতন নেব না।
অভিষেক বলেন, ১০ তারিখ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এখানে এসেছিলেন। তাদের কনভয়ে নাকি ইট -পাটকেল ছোড়া হয়েছে। তদের সভায় লোকই হয়নি। সেটা যাতে না তুলে ধরে তার জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে। আপনারা কোনও দিন শুনেছেন ভিআইপি। কেউ হয়তো একটা ইট মেরেছে। কারোর হয়তো পুরনো ক্ষোভ ছিল। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ইট না ইভিএমের মাধ্যমে দিতে হ