scorecardresearch
 

রিপোর্ট কার্ড দিতে গিয়ে হুগলিতে ঘেরাও কল্যাণ, শুনলেন অভাব অভিযোগ

বুধবার পান্ডুয়ায় দলের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দিতে যান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে তাঁকে ঘেরাও করেন গ্রামবাসীরা। পানীয় জল, আবাস যোজনা, রাস্তা, আমফানের ক্ষতিপূরণ, করোনাকালে ত্রাণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ কোনও ধরনের সুযোগ সুবিধা পাননি তাঁরা। কেউ কেউ আবার কর্মসংস্থানের দাবিও জানান।

Advertisement
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • ঘেরাওয়ের মুখে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ঠাণ্ডা মাথায় শুনলেন গ্রামবাসীদের দাবি দাওয়া
  • সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন তৃণমূল সাংসদ

দলের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ (MP) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পান্ডুয়ায়। তবে মেজাজ না হারিয়ে গ্রামবাসীদের দাবি দাওয়া মন দিয়ে শোনেন কল্যাণ। দেন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস। 

জানা গেছে বুধবার পান্ডুয়ার ওই গ্রামে দলের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দিতে যান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে তাঁকে ঘেরাও করেন গ্রামবাসীরা। পানীয় জল, আবাস যোজনা, রাস্তা, আমফানের ক্ষতিপূরণ, করোনাকালে ত্রাণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ কোনও ধরনের সুযোগ সুবিধা পাননি তাঁরা। কেউ কেউ আবার কর্মসংস্থানের দাবিও জানান।

ঘেরাওয়ের মুখে পরেও এদিন কোনোও ভাবেই মেজাজ হারাননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের সমস্ত দাবি দাওয়া মনোযোগ দিয়ে শোনেন তিনি। পাশাপাশি সমস্যা গুলি সমাধানের আশ্বাসও দেন শ্রীরামপুরের এই তৃণমূল সাংসদ। 

প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারের উন্নয়নে মূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে মাস দুয়েক আগে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে মানুষের কাছে সেই রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। একই সঙ্গে ১০ বছরেতা রাজ্য  ও রাজ্যবাসীর উন্নয়নের বাংলার সরকার কী কী কাজ করেছে, সেই কথাও বলা হচ্ছে মানুষকে। এদিন সেই কাজই করতে গিয়েছিলেন কল্যাণ। তবে যে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে এই রিপোর্ট কার্ড, সেই কার্ড পৌঁছে দিতে গিয়েই ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন শাসক দলের সাংসদ। সেক্ষেত্রে পানীও জল, রাস্তা বা বাসস্থানের মতো মানুষের প্রাথমিক চাহিদা গুলো ঠিক কতটা পূরণ হয়েছে  নিয়ে কিন্তু আরও একবার প্রশ্ন উঠে গেলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

 

Advertisement
Advertisement