scorecardresearch
 

আজ সুকনায় বিনয়, কাল বীরপাড়ায় গুরুং! উত্তাপ বাড়ছে পাহাড়ে

পাহাড়ে জারি সভা - পালটা সভার পর্ব। আজ রবিবার (Sunday) সুকনায় সভা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) নেতা বিনয় তামাং-এর (Binay Tamang)। সভায় যোগ দিয়েছেন বিনয়পন্থীরা। চলতি মাসের ৬ তারিখই শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানে সভা করেছিলেন মোর্চার অপর নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। সোমবার ডুয়ার্সের বীরপাড়াতেও জনসভা রয়েছে গুরুং-এর। সেক্ষেত্রে তার মাঝেই বিনয়ের এই সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এটাকে গুরুং-এর পালটা সভা হিসেবে মানতে রাজি নন বিনয়রা। এই সভা অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত বলেই দাবি বিনয়পন্থীদের। তাঁদের দাবি গত ৩ বছর ৬ মাসের জিটিএর মাধ্যমে পাহাড়ে কী কী কাজ হয়েছে তা তুলে ধরাই এই সভার মূল লক্ষ্য। 

Advertisement
উত্তাপ বাড়ছে পাহাড়ে উত্তাপ বাড়ছে পাহাড়ে
হাইলাইটস
  • বিনয়-বিমল সভার লড়াই
  • আজ সুকনায় বিনয়ের সভা
  • আগামীকাল বীরপাড়ায় গুরুং

পাহাড়ে জারি সভা - পালটা সভার পর্ব। আজ রবিবার (Sunday) সুকনায় সভা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) নেতা বিনয় তামাং-এর (Binay Tamang)। সভায় যোগ দিয়েছেন বিনয়পন্থীরা। চলতি মাসের ৬ তারিখই শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানে সভা করেছিলেন মোর্চার অপর নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। সোমবার ডুয়ার্সের বীরপাড়াতেও জনসভা রয়েছে গুরুং-এর। সেক্ষেত্রে তার মাঝেই বিনয়ের এই সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এটাকে গুরুং-এর পালটা সভা হিসেবে মানতে রাজি নন বিনয়রা। এই সভা অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত বলেই দাবি বিনয়পন্থীদের। তাঁদের দাবি গত ৩ বছর ৬ মাসের জিটিএর মাধ্যমে পাহাড়ে কী কী কাজ হয়েছে তা তুলে ধরাই এই সভার মূল লক্ষ্য। 

মোর্চার সভা
মোর্চার সভা

প্রসঙ্গত ২০১৭ সাল থেকে অন্তরালে থাকার পর কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে এসেছেন বিমল গুরুং। প্রকাশ্যে এসে এনডিএর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন এই মোর্চা নেতা। তবে গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরেননি তিনি। আর সেই কারণেই গত ৬ তারিখ শিলিগুড়ির সভাতেও তাঁর মুখে শোনা যায় 'উই ওয়ান্ট গোর্খাল্যান্ড' স্লোগান। সেদিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "আমাদের জন্য তিনি কিছুই করেননি। শুধু ভাঁওতা দিয়ে গিয়েছেন। আমরা তাঁদের দলের রাজু বিস্তাকে সাংসদ করেছি। কিন্তু তিনিও কোনও কাজ করেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে এখন ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে দেখান।" গুরুং আরও বলেন," বিজেপিকে কড়া বার্তা দিতেই আমরা বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাবো। আমরা তৃণমূলকে সমর্থন করব। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যারা আমাদের পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে নেবে তাদেরকেই আমরা সমর্থন করব।"

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে গোটা উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন গুরুং। আগামী ২০ তারিখ দার্জিলিং-এ পা রাখার কথা গুরুং-এর। সেখানে সভাও করবেন তিনি। জানা যাচ্ছে, তারপর থেকে পাহাড়েই থাকবেন গুরুং। দীর্ঘদিন পরে গুরুং-এর পাহাড়ে ফেরার খবরে স্বভাবতই ব্যাপক উচ্ছাস তাঁর অনুগামীগের মধ্যে। আবার অন্যদিকে গুরুং যাতে আর পাহাড়ে না ফেরেন সেই দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তাঁর বিরোধীরা। এখন দেখার বাস্তবেই গুরুং ফের দার্জিলিং-এ ফিরলে কোন দিকে মোড় নেয় পাহাড়ের রাজনীতি। 


 

Advertisement