তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর দোল উৎসবে অংশ নিয়ে বিপাকে বিজেপির ৩ প্রার্থী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad) নেতার হুঁশিয়ারির মুখে পড়েছেন তাঁরা। এর আগে বিজেপি, সিপিআইএম তাঁদের কটাক্ষ করেছিল বলে খবর।
রবিবার বিজেপির তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকার ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে নেতা, কামারহাটির প্রার্থী মদন মিত্রর দোলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়। ফেসবুকে পোস্ট করে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। তিনিও বহুদিন ধরে বিজেপিতে রয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে রূপাঞ্জনা লেখেন, সত্যি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি এটা দেখার পরে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad বা VHP) নেতা সৌরীশ মুখোপাধ্যায় টুইটে তীব্র সমালোচনা করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'দলের কর্মীরা চোখ চোখ রেখে লড়াই করে মৃত্য়ু বরণ করে যাচ্ছেন, আর আপনারা মদ অন এর সাথে "খেলা হবে" গানের তালে খেলা করছেন। একরাশ ধিক্কার আপনাদের।'
দলের কর্মীরা চোখে চোখ রেখে লড়াই করে মৃত্যু বরণ করে যাচ্ছেন,আর আপনারা মদ অন এর সাথে "খেলা হবে" গানের তালে ছেলেখেলা করছেন।
— Sourish Mukherjee (@me_sourish_) March 28, 2021
একরাশ ধিক্কার আপনাদের. pic.twitter.com/MrpckMxj3c
এদিকে, রূপাঞ্জনা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, একদিকে বিজেপির কর্মীরা খুন হচ্ছেন তৃনমূলের হাতে। আর এদিকে তিনজন বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী,পায়েল, তনুশ্রী মাঝ গঙ্গায় মদন মিত্র ও দেবাংশুর সাথে হোলি খেলতে খেলতে 'খেলা হবেও" মদনের মিত্রর গানে কোমর দোলাচ্ছে। বাস্তব রাজনীতির মাটির সাথে সম্পর্ক না থাকা এই ছ্যাবলামী মার্কা প্রার্থীদের এই ধরণের ছেলেমানুষি করে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভাঙার অধিকার কে দিয়েছে। উচ্চতর নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । এতে কি ওইসব এলাকার মানুষ আর কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে না যেখানে এরা প্রার্থী হয়েছে? যেখানে ভোটের সময় চলছে , চারিদিকে কর্মীরা মার খাচ্ছে বুক দিয়ে ,রক্ত দিয়ে ,লড়াই করছে পরিবর্তনের জন্য। তৃণমূলের সাথে হোলি খেলার আগে একবারও কি সেইসব বিজেপি কর্মীদের বলিদানের কথা ভাবলো না এরা ,ভাবলো না একবারও আজ তাদের পরিবার এই ফটো গুলো দেখলে কি ভাববে, তাদের মনের কষ্টের কথা ভাবলো না।
একুশের বিধানসভা ভোটে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপি অনেক তারকাকে ভোটে প্রার্থী করেছে। এর আগেও তৃণমূল এবং বিজেপির তরফ থেকে তারকাদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার যেন অন্য বারের সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে।
অন্তত সংখ্যার দিক থেকে বিচার করলে দেখা গিয়েছে সব থেকে বেশি তারকাদের এবারের ভোটের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে ওই দুই দলে তারকাদের যোগ দেওয়ার ঘটনা। বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগে এবং ঘোষণার পরেও একাধিক তারকা কখনও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
কখনও তৃণমূল আবার কখনও বা বিজেপিতে। এবং তাঁদের মধ্যে অনেককে ওই দুই দল প্রার্থীও করেছে। তাঁরা নেমেও পড়েছেন প্রচারে। আর যাঁরা প্রার্থী হতে পারেননি বা যাঁদের প্রার্থী করা হয়নি, তাঁরা সংশ্লিষ্ট দলের হয়ে প্রচার করছেন, জনসভায় অংশ নিচ্ছেন, মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট দুই দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছেন।
উদাহরণ হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীর কথাই বলা যেতে পারে। তিনি বিজেপির ব্রিগেডে বিজেপিতে যোগ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর মিঠুন চক্রবর্তী প্রার্থী হবেন কিনা, তিনি কি বিজেপির মুখ হবেন কিনা, নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে।
কিন্তু সেসব সরিয়ে রেখে তিনি নেমে পড়েছেন ভোটের প্রচারে ২৫ মার্চ তিনি প্রথম ভোট প্রচার শুরু করেন তাঁর রোড শোতে হাজির হচ্ছেন অজস্র মানুষ মনে করা হয়।