বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া মোটের ওপর শান্তিতেই চলল নদিয়া জেলার ভোটগ্রহণ। পঞ্চম দফার নির্বাচনে নদিয়ার মোট ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বচনের দিন সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির খবর আসতে থাকে। তবে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় কোনও ঘটনাই বড় আকার ধারন করেনি।
নদীয়ার সগুনার এক নম্বর লিচুতলায় বিজেপির বুথ সভাপতি মঙ্গল ঘরামির বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শান্তিপুর বিধানসভার ৭১ নম্বর বুথেও ভোটারদের ভোটদানে বাধা বাধার অভিযোগ অভিযুক্ত তৃণমূল। চাকদহ বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কৌশিক ভৌমিককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পালটা সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দৌড়তে দেখা যায় ওই প্রার্থীকেও। অন্যদিকে চাকদহ বিধানসভারই ৪৪ এবং ৪৫ নম্বর বুথে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে শান্তিপুরে ভোট দিয়ে ফেরার পথে বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন এক তৃণমূল কর্মী। আহত তৃণমূল কর্মীর নাম সন্তু বাউল। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশপাশি শান্তিপুরেরই মৌচাক কলোনী সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত জায়গায় হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক বিজেপি কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই কর্মীর নাম রাজা দেবনাথ। মৌচাক কলোনি সংলগ্ন সাহা পুকুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি রাজা দেবনাথের বাড়িতে খবর দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে নদিয়ার গয়েশপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। স্লোগানও দিতে থাকেন তৃণমূলের লোকেরা। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় শান্তনু ঠাকুরের। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।