দুপুরে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। বন সহায়ক পদে কারসাজির তদন্ত হচ্ছে বলেছিলেন তিনি। যদিও বিকেল গড়াতেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী।
গুড়াপে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ''আপনি বলেছেন বন সহায়কের পদের নিয়োগে কারসাজি হয়েছে। আপনি তদন্ত করবেন। বন সহায়কের নিয়োগ আমি বোর্ডের হাতে নিরপেক্ষভাবে তুলে দিয়েছিলাম। ৮ অক্টোবর সকাল দশটার সময় আমি আপনাকে মেসেজ করেছিলাম। কোনও বীরভূমের এক নেতা আমাকে বলছে, বন সহায়কের সব চাকরি তাঁকে দিতে হবে। যার পাল্টা আপনি আমায় ফোন করে বলেছিলেন, জেলায় জেলায় তৃণমূলের লোকেদের কিছু করে কাজ তুমি দিয়ে দাও। আজ আমি আপনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলতে বাধ্য় হলাম। আমার কাছে সেই মেসেজের কপি আছে। ৮ অক্টোবর ৯টা ৫৮ মিনিটে আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল।"
এই বলেই থেমে থাকেননি সদ্য় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা রাজীব। তিনি বলেন, "আমার কাছে সব কপি আছে, আপনার কোন নেতা মন্ত্রীরা সুপারিশ করেছে> এমনকী কালীঘাট থেকে কী সুপারিশ এসেছে, সেটাও আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি। কেঁচো খুঁড়তে খুঁড়তে কেউটে শাপ আপনি বের করছেন।' 'এদিন বন সহায়ক পদে সুপারিশের নেতার তালিকায় আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের সভাপতির কথাও বলেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে এদিন আলিপুরদুয়ারেই ছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী।
রাজীব দাবি করেন, ''প্রয়োজন হলে ওই বন সহায়কের প্যানেলটা আপনি বাতিল করে দিন। তাহলেই দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে। তাঁর আরও অভিযোগ, যেখানে যেখানে চুক্তি ভিত্তিক চাকরি হয়েছে সেখানে কোথা থেকে সুপারিশ এসেছে? কেন আমার অসন্তোষ ? মন্ত্রগুপ্তির জন্য় গত তিন বছর ধরে আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। আমি চাইছি, সব চুক্তিভত্তিক নিয়োগের তদন্ত হোক। তাহলে বটগাছের পাত ঝড়বে না, বট গাছটাই নড়ে যেতে পারে। আমি সেই ক্ষমতা রাখি।''
বুধবার আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা থেকে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, আমরা জানি যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, বন্য সহায়ক নিয়োগ নিয়ে ও কিছু কারসাজি করেছে। এই অভিযোগ আমাকে অনেকে দিয়েছে। আমরা ওটা তদন্ত করছি।