পিংলার সভা থেকে তৃণমূলকে একের পর এক আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে প্রকাশ্য জনসভা থেকেই শুভেন্দু জানালেন, ক্ষমতায় আসলে চিচফান্ডের প্রত্যেক টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে এদিন নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
চিটফান্ড প্রসঙ্গে শুভেন্দু
শুভেন্দু বলেন, সব জায়গায় তোলাবাজি-কাটমানি-সিন্ডিকেট রাজ। ২ হাজার কোটি টাকা স্টেটপ্রোপাটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে। কোনও সরকার তা করতে পারেনা। এখানকার আধিকারিককে জোর করিয়ে অর্ডার করিয়ে এটা করিয়েছে। সমবায় ব্যাঙ্কের সেই টাকা কোনওদিন শোধ করবে না। চিটফান্ডে সারদা, রোজভ্যালি, প্রয়াগ, আইকোরে সবার কত টাকা গেছে। কতজনকে সর্বসান্ত করেছে। বিজেপি এলে সব চিটফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, নন্দীগ্রাম থেকেই লড়ছেন শুভেন্দু? 'প্রস্তাব পেয়েছি,' বললেন দিলীপ
বহিরাগত ইস্যুতে শুভেন্দু
শুভেন্দুর আক্রমণ, নরেন্দ্র মোদী বহিরাগত, অমিত শাহ বহিরাগত আর তেজস্বী যাদব কি ঘরের জামাই? ভোটের সময়ে নবান্নতে মিটিং করেছে। ২ মে বিজেপি সরকার হবে। ৩ মাসের মধ্যে পৌরসভা ভোট হবে। তার ৬ মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত গুলো ত্রিপুরার মতো লাইন দিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেবে। পঞ্চায়েতে ভোটের প্রস্তূতিও সবাই নিয়ে নেন। ৬ মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। আগে ছিল দুয়ারে সরকার। এখন হয়েছে দুয়ারে সিবিআই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড একটা জাল কার্ড। মুখ্যমন্ত্রী এতো দরদী হলে তো বলেই দিত পারত, আধার কার্ড মানেই হেলফ কার্ড।
তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু
তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, আমফানের প্রচুর টাকা নিয়েছে তৃণমূলে। সংখ্যালঘুদের জন্য তৃণমূল কিছুই করেনি। প্রধানমন্ত্রী সব করেছেন। ৪০ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউনে আসতে পারছিল না। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু মাননীয়া বলেছিলেন করোনা এক্সপ্রেস। প্রধানমন্ত্রী গ্যাস সবাইকে দিয়েছে। সর্বনাশ করছে মাইনোরিটি স্কলারশিপ করছে। এদের ছেলে-মেয়েরা কম নম্বর পেলে পরীক্ষায় বাড়তি নম্বর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বাবা-মায়েরা তা জানতে পারছে না। আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব। আমি প্রার্থী হলেও মমতাকে হারাব, অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও তার হয়ে নন্দীগ্রামে পদ্মফুল ফোটাব