পশ্চিমবঙ্গের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন চলছে। আগামী ২ দফায় আরও ৭১টি আসনে নির্বাচন চলবে। এর মধ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আসনগুলির রয়েছে। এই আসনগুলিতে কংগ্রেসের শক্ত গড় রয়েছে। তবে এবার তৃণমূলও এই আসনগুলিতে থাবা বসানোর জন্য মরিয়া হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভাগাভাগি হওয়ায় জয়ের আশায় রয়েছে বিজেপিও।
কোন দলের পাল্লা বেশি?
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মোট ৪৯টি বিধানসভা রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের ৯টি আসনে এধিন ভোট চলছে। বাকি ৩টি জেলায় ভোটদান সপ্তম দফায়। ২০১৬ সালে তৃণমূল ২১১টি আসন জিতলেও, এই আসনগুলিতে ভালো ফল করে বাম ও কংগ্রেসের জোট শিবির। ২০১৬ নির্বাচনে এই আসনগুলির মধ্যে ২৬টিতে জিতেছিল কংগ্রেস, বামেরা ১১টি। অন্যদিকে তৃণমূলকে ১০টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এই জন্য এবার এই আসনগুলিতে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগেই ভগবানগোলায় একটি ব়্যালি চলার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সরকার বানাতে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
আরও পড়ুন, 'খেলোয়াড়' মমতা! বললেন, 'ক্রিকেটে লোকসভা-রাজ্যসভায় বেস্ট প্লেয়ার হয়েছিলাম'
কী বলেছিলেন মমতা ?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি আপনাদের কাছে একজোট হওয়ার আবেদন করছি। এবার আপনারা ভোট ভাগ হতে দেবেন না। মালদা, মুর্শিদাবাদ আর দুই দিনাজপুরের আসনগুলি পেলে আমরা খুব ভালোভাবে সরকার গঠন করব। আপনারা কি চান বিজেপি এসে রাজ্য শাসন করুক। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফেলর নিরিখে এই ৪৯টি বিধানসভার মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ফলে সেই আসনগুলো জিততে মরিয়া বিজেপি। এই আসনগুলিতে মুসলিম প্রার্থীও দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে কার্যত অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই কংগ্রেস ও বামের সামনে। মনে করা হচ্ছে, এই আসনগুলির বিরাট সংখ্যক মুসলিম ভোট এবার যেতে পারে তৃণমূলে। ফলে প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে পারে সংযুক্ত মোর্চা।