বঙ্গে আজ অর্থাত্ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। হুগলির আরামবাগে সভা। যার নির্যাস, বিজেপি-র সবচেয়ে বড় (একমাত্র বললেও অত্যুক্তি হয় না) 'ব্র্যান্ড' দিয়েই বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। এবারে লক্ষ্যমাত্রা ৩৫টি আসন। আর টার্গেট পূরণে ব্র্যান্ড-মোদীতেই ভরসা বঙ্গ বিজেপি-র। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তো বলছেনই, 'শুক্রবার আপনারা দেখবেন ম্যাজিক কাকে বলে। এর নাম মোদী ম্যাজিক।'
গত লোকসভায় কড়া টক্কর হয়েছিল আরামবাগে
এবার আসা যাক আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের কথায়। আরামবাগে গত দুবারের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। কিন্তু ২০১৯ সালে অপরূপার লড়াইটা বেশ কঠিন ছিল। যাকে বলে হাড্ডাহাড্ডি। ২০১৯ সালে আরামবাগ লোকসভা আসনে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ১ হাজার ১০০। এরপর ২০২১ সালে আরামবাগের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি জেতে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, 'আগের বার অল্পের জন্য আরামবাগ ফস্কে গিয়েছে। এবার লক্ষাধিক ভোটে জিতে এই কেন্দ্র উপহার দেব নরেন্দ্র মোদীকে। শুক্রবার আপনারা দেখবেন ম্যাজিক কাকে বলে। এর নাম মোদী ম্যাজিক।'
হুগলিতে লকেটের ফের টিকিট পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা
এখন প্রশ্ন হল, বাংলার হুগলি জেলা দিয়েই কেন 'শুরওয়াত'? বস্তুত, হুগলিতে এবারের লোকসভা ভোটে গতবারের বিজয়ী লকেট চট্টোপাধ্যায় টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়ে এখনও বিস্তর ধোঁয়াশ চলছে। কয়েক দিন আগে লকেট নিজেই ঘোষণা করে দিয়ছিলেন, হুগলিতে তিনিই ফের লোকসভা ভোটে লড়বেন। যদিও হুগলিতে 'দেওয়াল লিখন' অন্য গল্প বলছে। মোদীর আগমনে লকেটের 'ললাট লিখন' স্থির হবে কি? প্রশ্নটা যতটা সহজ, উত্তরটা আপাতত অজানাই।
হুগলি লোকসভায় ঠিক কী চলছে?
লোকসভা ভোটে প্রার্থিতালিকা এখনও ঘোষণা করেনি বিজেপি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে, তিনিই হুগলি থেকে দ্বিতীয় বার প্রার্থী হচ্ছেন। এর পরেই জেলার বিজেপি কর্মীদের একটি অংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তাঁদের বক্তব্য, গত ৫ বছরে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এলাকায় বিশেষ দেখা যায়নি। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি মত প্রকাশও করেন। এহেন আবহে,হুগলি লোকসভার প্রার্থী হিসাবে তিন জনের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে যায়। সেই তিনজনের মধ্যে নেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
রয়েছেন হুগলি বিজেপির সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুবীর নাগ। সেই সুবীরকে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে দেওয়াল লেখা হয়েছে। বিজেপি নেতা গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের নামেও দেওয়াল লেখা হয়েছে। এ ছাড়া চুঁচুড়ার ডাক্তার ইন্দ্রনীল চৌধুরীর নামেও দেওয়াল লেখা হয়েছে। ২০১৯ সালেও ইন্দ্রনীলের নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল হুগলিতে। কিন্তু টিকিট পেয়েছিলেন লকেট।