কলকাতা বা রাজ্যের দেওয়াল লিখনের অধিকাংশেই রাজনৈতিক বার্তা। ভোটের সময় বেশিরভাগ দেওয়াল লেখা হয়। তবে সামাজিক বার্তা বা অন্য কোনও বিষয়ে দেওয়াল লিখনের ফুটে ওঠে না, তেমনটা নয়। ঘটনা হল, সিংহভাগ রাজনীতির কথা।
একুশের বিধানসভা ভোট শেষ হয়েছে। ফলাফলও বেরিয়ে গিয়েছে। এর মাঝে কলকাতার উপকণ্ঠে বাগুইআটিতে এক দারুণ ছবি দেখা গেল। সেখানে দেওয়াল লিখনে করোনা সচেতনতায় বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
তবে এর আগে ছিল ভোটের কথা। এবার করোনা নিয়ে মানুষকে আরও সচেতন করার বার্তা তুলে ধরেছেন তৃণমূল কর্মীরা। শনিবার থেকে সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। এগিয়ে এসেছেন তৃণমূল যুব কর্মীরা। জোর কদমে চলছে সেই কাজ।
এটি রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকার ছবি। সেখানকার নবনির্বাচিত বিধায়ক শিল্পী অদিতি মুন্সি। তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। এবারের বিধানসভা ভোটে বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালের থেকেও বেশি আসন পেয়েছে তারা।
এদিন রাজারহাট গোপালপুরের তৃণমূল যুব সভাপতি পার্থ সরকার জানান, এখানকার বিধায়ক অদিতি মুন্সি। তিনি ঘোষণা করেছেন, করোনার বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করতে হবে। এটাই সবথেকে গুরুত্ব দেওয়ার জায়গা। আর তিনি নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারের জন্য যেসব দেওয়ার লেখা হয়েছিল, তা মুছে ফেলতে। এবং তার বদলে করোনা নিয়ে বার্তা দিতে।
তিনি আরও বলেন, আমি এখানকার তৃণমূল যুব সভাপতি। তাই আমি সেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। যোগ দিয়েছেন দলের যুবনেতারা। কী ভাবে কাজ হবে, জানান তিনি। পার্থ বলেন, পুরো রাজারহাট এলাকায় এই কাজ হচ্ছে। এই এলাকায় অনেকে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তাই আমরা ঠিক করেছি, করোনা সংক্রামিত এলাকায় বাড়ি বাড়ি স্যানিটাইজ করা হবে। যতক্ষণ না আমরা করোনা মুক্ত হই, এই লড়াই চলবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর নবান্নে করো না নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি সেখানে পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, রাজ্য সরকারের প্রথম গুরুত্ব দেওয়ার জন্য জায়গা হল করোনা সংক্রমণ কমানো।
সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বাজার থেকে ব্য়াঙ্ক- কাজের সময়ে বদল আনা হয়েছে।
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় কোয়াক ডাক্তারদের কাজে লাগাবে রাজ্য। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে কোয়াক ডাক্তার রয়েছেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কার কী করা উচিত, কার কী করা উচিত নয়, তা জানাবেন। এ ব্য়াপারে স্বাস্থ্য ভবন থেকে তাদের কাছে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হবে।