TET দুর্নীতি কাণ্ডে এবার নাম জড়াল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। TET পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। চাকরি পাওয়ার পর যান না স্কুলেও। বাড়িতেই চলে আসে স্কুলের হাজিরার খাতা। আর বাড়িতে বসেই সেই হাজিরার খাতায় সই করেন সুকন্যা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে। এই মর্মে মামলাও দায়ের হয়েছে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতে।
ঠিক কী অভিযোগ? মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল TET পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন। শুধু তিনিই নন। TET পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন আরও ৬ জন। তাঁরা হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডল, অনুব্রতর পার্সোনাল অ্যাসিস্টান্ট অর্ক দত্ত, তাঁর ভাইপো সাত্যকি মণ্ডল এছাড়াও অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরি ও সুজিত বাগদি।
আরও পড়ুন : 'বাবা হেফাজতে, মা'কে হারিয়েছি; কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না'
মামলাকারীর অভিযোগ, এঁরা কেউ TET পাশ করেননি। শুধুমাত্র প্রভাবশালীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য নিয়োগপত্র পেয়েছেন।
বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বোলপুরেপ কালিকাপুর বিদ্যালয়ে সুকন্যা চাকরি পেয়েছেন ঠিকই তবে তিনি কোনওদিন বিদ্যালয়ে যাননি। শিক্ষকতা করেননি। বরং স্কুল থেকে কোনও একজন আধিকারিক শিক্ষকদের হাজিরার খাতা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হাজির হতেন। আর সেই খাতায় সই করে দিতেন সুকন্যা। তবে স্কুলে না গেলেও তিনি বেতন তুলতেন।
আজ এই মামলাটি করা হয় মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তিনি নির্দেশ দেন, কালকের মধ্যে অভিযুক্তদের কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। TET পাশের শংসাপত্র-সহ। সশরীরে হাজিরা দিতে হবে সবাইকে। বীরভূম জেলা পুলিশ এই দায়িত্ব নেবে। তাদের কাছে আদালতের তরফে জানানো হবে আজই।
আরও পড়ুন : বয়স ৩০-৪০? কী কী খাবার মোটা হওয়া আটকাবে? দেখে নিন
এই বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'সুকন্যা মণ্ডল TET পাশ না করেই স্কুলে চাকরি করেছেন। তিনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হয়েও স্কুলে যান না। আরও পাঁচজন এমন আছেন। এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এভাবে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। এভাবে নেতা-নেত্রীদের চাকরি পাওয়া সম্পূর্ণ দুর্ভাগ্যজনক।'