scorecardresearch
 

সেলের দফতর কলকাতা থেকে না সরানোর আর্জি! কেন্দ্রকে চিঠি অমিতের

বেশ কয়েকদিন ধরে শোনা চলছে কলকাতা থেকে সরতে চলেছে সেলের কাঁচামাল বিভাগের দফতর অর্থাৎ আরএমডি। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের পক্ষে আবেদন জানান তিনি।

Advertisement
অমিত মিত্র। ফাইল ছবি অমিত মিত্র। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • সেলের দফতর কলকাতা থেকে না সরানোর আর্জি
  • কেন্দ্রকে চিঠি অমিতের
  • ২ পাতার চিঠিতে আর্জি জানালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী

বেশ কয়েকদিন ধরে শোনা চলছে কলকাতা থেকে সরতে চলেছে সেলের কাঁচামাল বিভাগের দফতর অর্থাৎ আরএমডি। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের পক্ষে আবেদন জানান তিনি। চিঠিতে অমিত মিত্র জানান, আমি খবরটি জানার পরেই চমকে উঠেছি। এই সিদ্ধান্তে প্রচুর ঠিক শ্রমিক কাজ হারাবেন। স্থানান্তরের ফলে সমস্যায় পড়বেন অন্তত ১০০ জন স্থানীয় শ্রমিকও। লকডাউনের এই সময়ে স্থানান্তরের ফলে পরিবার নিয়ে নয়া বিপদে মুখোমুখি হবেন তারা। 

সেই সঙ্গে অমিত মিত্র জানান, এই পদক্ষেপের ফলে প্রবল ক্ষতি হবে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট এবং বার্ণপুর। এই দুটি কারখানা পুরোপুরি সেলের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে এই দুই শিল্পাঞ্চল সেলের থেকে কাঁচামাল পায় ৬৫০ টাকা প্রতি টন দরে। একবার সেল চলে গেলে অন্যত্র জায়গা থেকে কাঁচামাল আমদানি করতে হবে তাদের। তখন দাম বেড়ে হবে ৯,৫০০ টাকা প্রতি টন। দুর্গাপুর ও বার্নপুর স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করেন ১৪ হাজার মানুষ। লাভ হয় ১,৪৮৬ কোটি টাকা। এখন কেন্দ্রীয় সরকার যদি সেলকে সরিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়বে এই দুই ঐতিহ্যশালী শিল্পাঞ্চলগুলি। 

নির্বাচনের পরেই আচমকা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। চিঠির শেষে কার্যত অমিত মিত্র আর্জি জানিয়েছেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত যেন না নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বিজেপির ভোটে ভরাডুবির পরেই এই সিদ্ধান্তে নেওয়া হচ্ছে। বস্তূত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে লাভবান হবে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড। অপরদিকে, লোকসানের সম্মুখীন হবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী দুই শিল্পাঞ্চল। তাই চিঠি সবদিক তুলে ধরেই কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠনও। যদিও এখনও কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রকাশ্যে কোনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি। 

Advertisement

Advertisement