Calcutta High Court on Bhabanipur Byelection: ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় সন্তুষ্ট নয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশও করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বাকি কেন্দ্র কেন নয়?
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলে বাদবাকি কেন্দ্রগুলিতে কেনও নয়? কেন শুধুমাত্র একটা কিন্তু এই উপনির্বাচন ঘোষণা করা হল? আইন সব কেন্দ্রের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তা হলে শুধু একটা কেন্দ্রে কেন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে? জনস্বার্থ সংক্রান্ত মামলায় বড় প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
শুনানি শেষ, রায় স্থগিত
ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলল শুক্রবার। আপাতত শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে জমা দেওয়া হলফনামায় ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতের প্রশ্ন
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানতে চান,মুখ্য সচিব একটা কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়ে কী করে বলতে পারেন সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে? এটা কি তিনি বলতে পারেন? তিনি কি মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে পারেন?
ভবানীপুর বিধানসভায় এক জয়ী কোনও কারণ ছাড়াই কেন ইস্তফা দিলেন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। তাঁর প্রশ্ন, আইন কি সব কেন্দ্রের জন্য সমান ভাবে খাটে না? রাজ্যের তরফে জানানো হয়, আইনি লেখা আছে ছয় মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে।
বার বার ভোট কেন?
মানুষের করের টাকায় কেন বারবার নির্বাচন হবে? এত বিপুল পরিমাণ খরচ কেন জনগণ বহন করবে? বিচারপতি আরও জানতে চান, শুধুমাত্র একটা কেন্দ্রেই কেন নির্বাচন হবে? বাদবাকি কেন্দ্রে কেন হবে না?
আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক দিতে পারছেন না। একটা নির্বাচন পরিচালনা করতে কত খরচ হয় আপনি জানেন? প্রশ্ন তাঁর। এত বিপুল পরিমাণ খরচ কেন জনগণ বহন করবে?
অসন্তুষ্ট আদালত
নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের আইনজীবী বারবার নিজেদের ব্যাখা দেওয়ার চেষ্টা করলে,ও দু'পক্ষকেই কড়া ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।