স্কুল সার্ভিস কমিশন-সহ একাধিক চাকরির পরীক্ষার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে BJP-র বিকাশ ভবন অভিযান। তা নিয়ে সরগরম সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর। মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে অভিযান করতে তৎপর গেরুয়া শিবির। তারা ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টাও করে। পরে একাধিক ব্যারিকেড ভেঙে দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জল কামানের ব্যবহার করে প্রশাসন।
এদিন করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই মিছিয়ে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেতা-নেত্রীরা। পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি না দিলেও করুণাময়ী থেকে মিছিল শুরু হয়। আর করুণাময়ীর কাছে পুলিশের রাখা প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-,সমর্থকরা।
আরও পড়ুন : একাধিক ডিভাইসে WhatsApp খোলা, কীভাবে বন্ধ করবেন? জানুন
ময়ূখ ভবনের সামনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল পুলিশ। সেখানে ব্যারিকেডও রেখেছিল তারা। তবে সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু করে গেরুয়া শিবিরের লোকজন। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন পুলিশ জল কামান ব্যবহার করে বিজেপি কর্মীদের নিরস্ত করার চেষ্টা করে। তবে সেখানেই রাস্তায় বসে পড়ে কয়েকশো বিজেপি কর্মী-সমর্থক। পুলিশ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পরে ফের আরও একাধিক ব্যারিকেড ভাঙে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের অনেকেই চপ-মুড়ি নিয়ে বিকাশ ভবন অভিযানে অংশ নেন। যুব মোর্চার এক নেতা জানান, 'এই রাজ্যে শিক্ষা নেই। চাকরি নেই। সেই কারণে যুবক-যুবতীরা বাইরের রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী চপ শিল্পের কথা বলেছেন। আমাদের রাজ্যের ছেলে-মেয়েদের এটাই কি তাহলে চপ-মুড়ি বিক্রিই ভবিষ্যৎ?'
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বিধায়কের প্যাডে নাম ফোন নম্বর লিখে চাকরির সুপারিশ করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা ১৫ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দিচ্ছে। যারা যোগ্য তাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। নবান্নের ১৪ তলা থেকে সব ঠিক করা হচ্ছে। আমরা আগামিদিনে সব প্রকাশ্যে আনব।'
সুকান্ত মজুমদারের আরও দাবি, পুলিশ তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। তার জেরে কম করে ৪ জন জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুকান্তবাবুর কথায়, 'গণতান্ত্রিকভাবে মিছিল হচ্ছিল। সেই মিছিলে হামলা করে পুলিশ। ৪ জন জখম হয়েছেন। আমাদের কেন অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা তো মাইক ব্যবহার করছি।'
যুব মোর্চার মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, পুরুষ পুলিশ ছিল। তারাই মহিলাদের গায়ে হাত দিয়েছে। লাঠিচার্জ করেছে।