scorecardresearch
 

সুর নরম বামেদের, একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস! TMC-র দিকে কি জোটের ইঙ্গিত?

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেরর দিকে তাকিয়ে জাতীয় স্তরে ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল । ইতিমধ্যে দিল্লি পৌঁছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুটি বিষয় নজর এড়ায়নি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রথমটি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক।

Advertisement
বিমান বসু (বামদিকে) এবং কংগ্রেস নেতা কমলনাথের সঙ্গে আজকে মমতা (ডানদিকে)।- বিমান বসু (বামদিকে) এবং কংগ্রেস নেতা কমলনাথের সঙ্গে আজকে মমতা (ডানদিকে)।-
হাইলাইটস
  • সুর নরম বামেদের
  • একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস
  • TMC-র দিকে কি জোটের ইঙ্গিত?

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেরর দিকে তাকিয়ে জাতীয় স্তরে ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল । ইতিমধ্যে দিল্লি পৌঁছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুটি বিষয় নজর এড়ায়নি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রথমটি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক। আবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর একটি বিবৃতি। সোমবার বিমান বসু জানান, "আমরা কারোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছি না। কিন্তু অন্যেরা যদি সম্পর্ক ছিন্ন করেন, তাহলে আমাদের আর বলার কিছু নেই। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী সব দলের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে প্রস্তূত।" তারপরেই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'সেটা যদি তৃণমূল থাকে?' উত্তরে বিমান বসু জানান, 'বিজেপি ছাড়া সবদলের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তূত।'

বাড়ছে জল্পনা

বিধানসভা নির্বাচনে এবার খাতাই খুলতে পারেনি বামেরা। একই দশা কংগ্রেসেরও। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস এবং আইএসএফ জোট করে লড়াই করেছিল। আইএসএফ একটি আসন পেলেও, এবার বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধি নেই বাম ও কংগ্রেস শিবিরের। এমন অবস্থায় বিমান বসুর এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে। জাতীয় স্তরে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে। সেটা সংসদের যে কোনও অধিবেশনেই দেখা যায়। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রায় একাধিক কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেল। এমনকি কংগ্রেসের ট্যুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও দেখা গিয়েছে। 

মিস করছে তৃণমূলের মন্ত্রীও

তবে কংগ্রেস ও সিপিএমকে নিয়ে যে জল্পনা চলছে, তা কিন্তু এই প্রথম নয়। কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "৩৪ বছরের বাম শাসন দেখেছি , তারা মিথ্যে কথা বলতো না, মানুষকে এভাবে ধোঁকা দিত না। আর এই দলটা (বিজেপি) সমানে মানুষকে ধোঁকা দেয়।" রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, "বিধানসভায় বাম, কংগ্রেস না থাকায় আমার ভালো লাগছে না। ওদের সঙ্গে মতের মিল না হলেও, ওরা যুক্তিবাদী ছিল। বিজেপির থেকে ১২০ গুন ভালো বাম কংগ্রেস। বিজেপির যুক্তির কোন মাথা মুণ্ডু নেই। আমার পরিষদীয় রাজনীতির প্রথম দিন থেকেই ওদের বিধান সভায় দেখেছি। না থাকায় অস্বস্তি হচ্ছে। ৫০ বছর ধরে ওদেরই তো দেখে আসছি। এবার শূন্য। মিস করবো ওদের, সেইসঙ্গে ওদের বক্তৃতারও।" বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে সবই সম্ভবত। একসময়ে বামেদের প্রবল বিরোধী কংগ্রসই আজ তাদের জোটসঙ্গী। এখন ভবিষ্যতে নয়া কেউ জোটসঙ্গী হবে কিনা, সেটাই আগামী দিনই বলবে।

Advertisement

Advertisement