scorecardresearch
 

Kamal Hossain: 'বিবেক দংশন হচ্ছে,' হঠাত্‍ দল ছাড়লেন TMC-র সংখ্যালঘু নেতা 'শিক্ষক' কামাল হোসেন

লোকসভা নির্বাচনের মুখে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্রর পদ ছাড়লেন কামাল হোসেন। পদ ছাড়তেই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

Advertisement
বড় ধাক্কা তৃণমূলের, ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন  কামাল হোসেন বড় ধাক্কা তৃণমূলের, ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন কামাল হোসেন

লোকসভা নির্বাচনের মুখে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্রর পদ ছাড়লেন কামাল হোসেন। পদ ছাড়তেই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা হয়রানির শিকার। দলকে বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না।’ তাঁর কথায়, ‘মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়ে যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। সংখ্যালঘু বলেই কি আমার কথা শোনা হচ্ছে না।’ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সরাসরি দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেতা তথা দলের অন্যতম মুখপাত্র কামাল হোসেন। সেই ঘোষণা করার আগে দলের বিরুদ্ধে উগরে দেন প্রবল ক্ষোভ।

কামাল হোসেন পেশায় একজন শিক্ষক এবং তৃণমূল কংগ্রেসে একমাত্র সংখ্যালঘু মুখপাত্র ছিলেন। আজ তিনি ১৯ শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের একদম পেছনে একটি অফিসে প্রেস কনফারেন্স করেন এবং এই প্রেসকনসেন্সের মাধ্যমে উনি জানাতে চান সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এই রাজ্যে সরকার যে প্রতারণা করছে,  তা মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে হোক কিংবা সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে হোক বা কর্মক্ষেত্রেই হোক, তা ঠিক হয়নি। কামাল হোসেন বলেন, 'এই সমস্ত অন্যায় দেখার পর বিবেকের দংশনে এবং সংখ্যালঘু মানুষের অনুরোধে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার পক্ষে আর তৃণমূল কংগ্রেস করা সম্ভব হচ্ছে না।'

 এই প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে কামাব হোসেন দাবি করেন, ওনার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। উনি কিছু নিজের অভিযোগ জানাবেন। এবং সেই সঙ্গে  উনি বলেন, একমাস ধরে খুব কষ্টের মধ্যে আছেন, তাঁক কথায় কেউ গুরুত্বই দিচ্ছে না। তাঁর দাবি, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়ে যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। তাঁর অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ড পরিবর্তন করার সুযোগ না দিয়েই শতাধিক প্রার্থীর কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কেন পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কামাল হোসেন। বারবার তাঁর অফিসে নাকি এই অভিযোগ জানিয়ে ফোন আসে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের। এই নিয়ে দলের সঙ্গে কথাও বলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ নাকি তাঁর কথা শোনেনি। মেসেজ করলে, কেউ তা পড়েও দেখেননি। কামাল বলেন, ‘একে অবজ্ঞা ছাড়া আর কী বলব। আমার কথা যখন শোনা হচ্ছে না। তখন আমি আর থেকে কী করব।’

আরও পড়ুন

Advertisement

এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।  কামাল হোসেনের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। কামাল হোসেন পদ ছাড়তেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই বিষয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। তাঁর কথায়, হিজাব পরে সংখ্যালঘুদের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতে সংখ্যালঘুদের মুখ হিসেবে জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, আরাবুলদের মতো নেতা তৈরি হয়েছে। আর তাদের কারণেই বাংলার সংখ্যালঘুদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।  শঙ্কর ঘোষ আরও বলেন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুলপথে সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্কে পরিণত করেছেন। এ রাজ্যে তৃণমূলের দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয়েছেন সংখ্যালঘুরাই।’

Advertisement