নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী (Netaji 125th Birth Anniversary) উপলক্ষে আজ কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মূলত দুটি বড় কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সবশেষে রাতেই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রথম কর্মসূচি
দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যাওয়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। খানে নেতাজি সম্পর্কিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন রয়েছে। যার মূল বিষয়বস্তু, একবিংশ শতাব্দীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ফিরে দেখা। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খ্য়াতনামা শিল্পীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। যাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বিদ্বজ্জনদের উপস্থিতিও দেখা যেতে পারে অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন, নেতাজি জয়ন্তীতে শহরে প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিকেলে ভিক্টোরিয়ার অনষ্ঠানে যাবেন মুখ্যমন্ত্রীও
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে পরাক্রম দিবস
বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে 'পরাক্রম দিবস' অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের স্বাধীনতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানের কথা চিন্তা করে তাঁর জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি বছর নিয়ম করে ২৩ জানুয়ারি এই 'পরাক্রম দিবস' পালন করা হবে। মূলত, দেশের যুব প্রজন্মের কাছে দেশাত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতেই মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বক্তব্য় বিজেপির। কিছু মহলে শোনা গিয়েছিল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম আজ পরিবর্তন হয়ে নেতাজির কিংবা আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে আজ হতে পারে। যদিও সরকারের তরফ থেকে এখনও তেমন কিছু শোনা যায়নি। ফলে এদিনকেও নজর রয়েছে সবার।
প্রদর্শনশালার উদ্বোধন
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে নেতাজির ওপর একটি স্থায়ী প্রদর্শনশালার উদ্বোধন করা হবে। এছাড়াও নেতাজির স্মারক হিসাবে একটি কয়েন ও ডাক টিকিটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।নেতাজিকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। সুভাষচন্দ্রের স্মৃতিতে 'আমরা নুতন যৌবনেরই দূত' নামের একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে এখানে।
নজরে প্রধানমন্ত্রী
পশ্চিমবঙ্গে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী যাবেন অসমে। সেখানেও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যে গোটা দেশে পরাক্রম দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে গঠন করা হয়েছিল এক বিশেষ কমিটি। সেই কমিটিতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি খুব গুরত্বপূর্ণ। আজকের সভায় তিনি কী বার্তা দেন, সেই দিকেই নজর রয়েছে সব মহলের।