scorecardresearch
 

''পরাক্রম মানে বুঝি না, উনি দেশনায়ক ছিলেন,'' নেতাজি ভবনে মমতা

নেতাজি ভবনে নেতাজি জয়ন্তে অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রকে খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বন্দরের নামবদল থেকে শুরু করে ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া হয়। একাধিক ইস্যু এদিন তুললেন মমতা।

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • নেতাজি ভবনে মমতা
  • ''পরাক্রম মানে বুঝি না, উনি দেশনায়ক ছিলেন,''
  • এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

নেতাজি ভবনে নেতাজি জয়ন্তে অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রকে খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বন্দরের নামবদল থেকে শুরু করে ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া হয়। একাধিক ইস্যু এদিন তুললেন মমতা।

কী বললেন মমতা

এদিন মমতা বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একটা আবেগ। আজও আমার মনে দুঃখ রয়ে গেছে, তার জন্মদিনটা জানলেও, মৃত্যুদিনটা এখনও জানি না।  পরাক্রম মানে আমি বুঝি না। বাংলা, ইংরাজি, সংস্কৃত শব্দ কোনটা আমি জানি না। আমি এটা জানি উনি দেশপ্রেমিক ছিলেন। উনি একজন দেশনায়ক। উনি বলেছিলেন, তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেবো। তিনি একজন দার্শনিকও ছিলেন। তাঁর চিন্তাভাবনা দিয়েই তৈরি করেছিলেন ন্য়াশনাল প্ল্যানিং কমিশন। আর এখন ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন উঠেই দিয়েছে। যদি আমরা সত্যি নেতাজিকে ভালোবাসি তাহলে কেন এটা তুলে দেওয়া হল। পোর্টের নাম ছিল সুভাষ বন্দর। সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম তাকে দেশনায়ক হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন। তাই আমরা দিনটির নাম দেশনায়ক দিবস রেখেছি।

আরও পড়ুন, ফের এক মঞ্চে মোদী-মমতা! ভিক্টোরিয়ায় নেতাজি জয়ন্তীতে আমন্ত্রণ গ্রহণ মুখ্যমন্ত্রীর

টানা কর্মসূচি মমতার

নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে শ্যামবাজার পাঁচমাথার নেতাজির মূর্তির পাদদেশ থেকে রেড রোডে সামনে নেতাজির মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত শোভাযাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশনায়ক দিবস হিসাবে পালন করবে রাজ্য সরকার। অনেক আগেই এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি সকল রাজ্যবাসীকে দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও অন্যান্য অভিবাদন  ধ্বনি দিয়ে নেতাজির জন্ম মুহূর্ত স্মরণ করতে অনুরোধও করেছিলেন। নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্যজুড়েই বিভিন্ন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য় সরকার। একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে রয়েছেন একাধিক বিশিষ্টজন। 

Advertisement

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানান, নেতাজির স্মরণে একটি মনুমেন্ট তৈরি হবে রাজারহাটে। তার নাম দেওয়া হবে আজাদ হিন্দ ফৌজ। নেতাজির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের গাঁটছাড়া থাকবে। এ বছর কলকাতায় প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড উৎসর্গ করা হবে নেতাজির উদ্দেশ্যে।

Advertisement