জল্পনা অবসান। ভিক্টোরিলা মেমোরিয়াল হলে কেন্দ্রের নেতাজি জয়ন্তী অনুষ্ঠানে (Netaji 125th Birth Anniversary) উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে খবর। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে পরাক্রম দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে প্রায় কয়েক মাস পরে ফের একই মঞ্চে দেখা যেতে চলেছে মোদী ও মমতা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি
বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে 'পরাক্রম দিবস' অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের স্বাধীনতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানের কথা চিন্তা করে তাঁর জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি বছর নিয়ম করে ২৩ জানুয়ারি এই 'পরাক্রম দিবস' পালন করা হবে। মূলত, দেশের যুব প্রজন্মের কাছে দেশাত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতেই মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বক্তব্য় বিজেপির। কিছু মহলে শোনা গিয়েছিল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম আজ পরিবর্তন হয়ে নেতাজির কিংবা আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে আজ হতে পারে। যদিও সরকারের তরফ থেকে এখনও তেমন কিছু শোনা যায়নি। ফলে এদিনকেও নজর রয়েছে সবার।
আরও পড়ুন, রাজারহাটে তৈরি হবে মনুমেন্ট, শোভাযাত্রা মমতার
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে নেতাজির ওপর একটি স্থায়ী প্রদর্শনশালার উদ্বোধন করা হবে। এছাড়াও নেতাজির স্মারক হিসাবে একটি কয়েন ও ডাক টিকিটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।নেতাজিকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। সুভাষচন্দ্রের স্মৃতিতে 'আমরা নুতন যৌবনেরই দূত' নামের একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে এখানে।
মমতার কর্মসূচি
নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে শ্যামবাজার পাঁচমাথার নেতাজির মূর্তির পাদদেশ থেকে রেড রোডে সামনে নেতাজির মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত শোভাযাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশনায়ক দিবস হিসাবে পালন করবে রাজ্য সরকার। অনেক আগেই এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি সকল রাজ্যবাসীকে দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও অন্যান্য অভিবাদন ধ্বনি দিয়ে নেতাজির জন্ম মুহূর্ত স্মরণ করতে অনুরোধও করেছিলেন। নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্যজুড়েই বিভিন্ন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য় সরকার। একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। বিধানসভা ভোটের আগে ক্রমশ দ্বৈরথ বাড়ছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। এমন অবস্থা মোদী ও মমতা একমঞ্চে রাজনৈতিক দিক দিয়ে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।