করোনায়(Corona) আক্রান্তদের মৃতদেহ এবার থেকে তাদের নিজেদের এলাকাতেই সৎকার করা যাবে। করোনায় আক্রান্তদের মৃতদেহ অন্ত্যেষ্টি নিয়ে জটিলতা কাটাতে এই সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্য দপ্তরের(Health Department) আজকের জারি করা নির্দেশিকা নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের হাসপাতালে মৃত্যু হলে মৃতের দেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু ওই মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না। বরং সরাসরি এলাকার শ্মশান বা কবরস্থানেই নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন- অক্সিজেনের সমস্যা মেটাতে টাক্সফোর্স গঠন সুপ্রিম কোর্টের
করোনায় মৃত রোগীর সৎকারে আগে থেকেই একটি নির্দেশিকা জারি ছিল রাজ্যে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, মৃত্যুর ৩ ঘণ্টার মধ্যেই করোনা মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু গত একমাসে দেখে গিয়েছে, কোথাও রোগী মৃত্যুর ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত পড়েছিল দেহ, আবার কোথাও সেটা একদিন পেরিয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গাতেই করোনায় মৃতদের সৎকারে আপত্তি তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে এবার রোগীর পরিবারকে সেই সমস্ত ঝামেলা-ঝঞ্জাট থেকে মুক্তি দিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে ভর্তির জন্য কোভিড রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়, ফেরানো যাবে না রোগী; নির্দেশ কেন্দ্রের
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে হোক বা বাড়িতে, যে এলাকায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে সেখানকারই নির্দিষ্ট শ্মশান বা কবরস্থানে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা যাবে। তবে পুরো বিষয়টিই জানাতে হবে স্থানীয় নোডাল অফিসারকে। তিনিই দায়িত্ব নিয়ে মৃতদেহ বহন থেকে অন্ত্যেষ্টির যাবতীয় ব্যবস্থা করবেন। নির্দেশিকায় এটাও জানানো হয়েছে, যদিও বাড়িতেই কোনও রোগীর মৃত্যু হয় এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেহ পড়ে থাকে। ওদিকে কোভিড রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে, তখনও কোভিড বিধি মেনে ওই দেহ সৎকার করা যাবে। তবে আগের নির্দেশিকায় যেমন বলা হয়েছিল, ৬ জনের বেশি রোগীর আত্মীয়-পরিজন সৎকারে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তাঁদের পিপিই কিট থেকে মাস্কের সমস্ত খরচ রাজ্য সরকারের। শববাহী গাড়ি আগে থেকে স্যানিটাইজেশন করে রাখতে হবে, সেই সমস্ত নিয়ম বহাল থাকছে।