কলকাতার স্ট্র্য়ান্ড রোডের রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডে ধাক্কা খাবে কম্পিউটার পরিচালিত টিকিট বুকিং ব্যবস্থা। এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের পূর্বাঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করেছেন রেল কর্তাদের একাংশ।
জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সেখানে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অফিস রয়েছে। আর তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে টিকিট বুকিং ব্যবস্থা ধাক্কা খেতে পারে।
রেলের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন,সংরক্ষিত টিকিট অর্থাৎ রিজার্ভেশন টিকিট কাটার সার্ভার রুম ছিল ওই ভবনে। যেখান থেকে পুরো পূর্বাঞ্চলের কাজ হত। সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার পর সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়েছিল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে, আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরই রেলের টিকিট বুকিং ব্যবস্থা ধাক্কা খেয়েছিল। এক ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই বুকিংয়ের ব্যবস্থায় প্রভাব দেখা গিয়েছিল। ইউপিএস ব্য়বস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
ওই সার্ভারের মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলের টিকিট সংরক্ষণের কাজ করা হত। তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্টার ফর রেলওয়েজ ইনফর্মেশন সিস্টেম (ক্রিস)-এর অফিস রয়েছে ওই ভবনের তৃতীয় তলে। সেখান থেকে পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব, নর্থ ফ্রন্টিয়ার এবং পূর্ব-মধ্য এবং রেলের আরও কয়েকটি জোনর টিকিট সংরক্ষণের কাজ হত।
এদিকে, কলকাতায় রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁরা টুইট করেছে শোক জানিয়েছেন। পাশাপাশি রেলমন্ত্রী জানান, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
মোদী টুইটে লেখেন, কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডের কথা জানতে পেরে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আশা করি আহতরা দ্রুত সেরে উঠবেন।
কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে সোমবার আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলকর্মী, আরপিএফ পুলিশ-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তোলেন।
রেলমন্ত্রী সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। সোমবার গভীর রাতে তিনি টুইট করেন। টুইটে তিনি জানান, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে রেলের তরফ থেকে সম্ভাব্য সব রকমের সাহায্য করা হয়েছে। রেলের ৪টি বিভাগের প্রধানদের নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এই আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখা হবে।
অন্য একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, রেলের জেনারেল ম্যানেজার পর্যায়ের আধিকারিক-সহ রেলের আধিকারিকেরা রয়েছেন। উদ্ধারের কাজে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তাঁরা কাজ করছেন। সবার নিরাপত্তার জন্য আমরা দায়বন্ধ।
নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে তিনি আরও একটি টুইটে তিনি জানান, নিহত ৯ জন সাহসী কর্মীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। কলকাতায় পূর্ব রেলের স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে ৪ দমকলকর্মী, ২ রেলকর্মী এবং ১ পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।