ডিভিসি নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসি নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন। ডিভিসির স্টেকহোল্ডার রাজ্য সরকার
শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অসত্য কথায় এক নম্বর। এই কথা আমরা বারবার বলছি। হাঁড়ি বিতড়ণ, অনুপ্ররেনা লিখে হোডিং টানানো ছাড়া, সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা কথা বলা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর কোনও কাজ নেই। ডিভিসির নামে উঁনি যেটা বলেছেন সেটা অসত্য। আমি তো সেচমন্ত্রী ছিলাম। আজকে ডিভিসির স্টেকহোল্ডার তো রাজ্য সরকার। উনি কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন নিশানা করছেন। গত ২৭ তারিখ ডিভিসি আপনাকে সতর্ক করেছিল। আপনার জেলাশাসক, বিডিও দফতর কোথায় ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘাটাল, দাশপুর, আরামবাগ, দাশপুর, খানাকুল কোথাও কি ওরা মাইকিং করেছে? ডিভিসির মনিটারিং কমিটির সদস্য রাজ্য সেচ দফতরের সচিব। চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের মেম্বার আছে। একদম মিথ্যা কথা বলেছেন উনি। আমিও আজ পাল্টা চিঠি পাঠাব প্রধানমন্ত্রীকে। শুনেছি উনি নাকি ডিভিসি নিয়ে একটা চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। আমি চিঠিতে লিখব, কলকাতা ও সল্টলেকে উনি দুয়ারে নর্দমার জল প্রকল্প চালু করেছে। এর জন্য দায়ী এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সরকার।
শুভেন্দু বলেন, উনি কাউকে দিয়ে একটা চিঠি লেখান, সেটা মিডিয়াতে পোস্ট করেন। সমালোচনা হলে সেটা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ডিভিসির বাঁধ সংস্কার হয় না, এটা উনি জানলেন কী করে? উনি কি কোনও বিশেষজ্ঞ নাকি? অতিবৃষ্টি জন্য জল জমবে। নিম্ন দামোদর এলাকায় প্রকল্পের কাজ ধীর গতিতে কেন হচ্ছে। গতকাল দেবের মন্তব্যে পরিপেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, উনি সংসদে কতদিন যান, সেই তালিকাটা একবার বের করুন। সাংসদের তো ওখানেই কথা বলতে হবে। অন্তত ৫০ শতাংশ উপস্থিতি তো আশা করব। আমি ওনাকে বলব, আগে সংসদে যান।
শুভেন্দু বলেন, আমাকে তো সেচমন্ত্রী হিসাবে ২-৩ মাস দায়িত্ব দিয়েছিল। আমার কাছে অর্থদফতরের দুটো সার্কুলার আছে। কোনও মন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা ছিল না। পরিকল্পনা বহিভূত খাতে ৫০ হাজার এবং পরিকল্পনা খাতে ১ কোটি টাকা খরচ করার ক্ষমতা ছিল। তারপরে সব জিনিস পাঠাতে হত সাত তলাতে। সেটা ছিল অর্থ দফতর। তারা বলত, ১৪ তলা না বললে কিছুই করতে পারব না।