আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী কোন দলের ঝান্ডা ধরবেন তা নিয়ে দোলাচল বর্তমান। তিনি কি ঘাসফুল শিবিরেই থাকবেন, নাকি শিবির বদল করে গেরুয়া রং গায়ে মাখবেন তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে শুভেন্দুর হোয়াটসঅ্যাপ পর্বের পর দল যে তাঁকে নিয়ে আর নমনীয় নয় তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরের থেকে। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুকে হোয়াটসঅ্যাপে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন সৌগত। আর শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামের বিধায়কের প্রশ্ন একপ্রকার এড়িয়েই গেলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিজেই এবার শুভেন্দু অধিকারী সংক্রান্ত অধ্যায় ‘ক্লোজ’করে দিতে উদ্যোগী তেমন বার্তাই এবার আসতে শুরু করেছে। তৃণমূল যে আর নিজের উদ্যোগে আলোচনার টেবিলে যাবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের বর্ষীয়াণ সাংসদ সৌগত রায়। শুভেন্দুর মান ভাঙাতে ঘাস ফুল শিবিরে সবচেয়ে বেশি অ্যাকটিভ ছিলেন সৌগতই। মূলত তাঁর উদ্যোগেই মঙ্গলবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক ও শুভেন্দু। বৈঠক শেষে তৃণমূল শিবির যখন দাবি করেছিল সব সমস্যা মিটে গিয়েছে তখনি বোমা ফাটিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বেতাজ বাদশা। বুধবার দুপুরে সৌগতকে হোয়াটসঅ্যাপ করে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছিলেন 'আমায় মাফ করবেন'। সূত্রের খবর এরপর থেকেই শুভেন্দুকে ছাড়াই ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। আর তারপরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ককে বৃহস্পতিবারই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়ে দেন সৌগত রায়।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতার ডানহাত শুভেন্দুকে নিয়ে নাটকীয় পট পরিবর্তন’-এর আশা যে তৃণমূল শিবির আর করছে না, তার ইঙ্গিত মিলল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কথাতেও। শুক্রবার দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে দলের মধ্যে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে শুভেন্দু প্রসঙ্গ কার্যত এড়িয়ে গেলেন বারাসতের সাংসদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাকলি বলেন, শক্তি জমির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে দল, যার নেত্রী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অন্য কাউকে নিয়ে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূল যে আর নরম হবে না সেই বার্তাই যেন স্পষ্ট করে দিলেন কাকলি।