আজ, সোমবার শপথ নেবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা। রাজভবনে এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন নতুন মুখ রয়েছেন।
জানা গিয়েছেন, মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৪৩। সেই তালিকায় রয়েছেন অমিত মিত্র। এবার তিনি ভোটে লড়েননি। তবে নিয়ম অনুসারে তিনি মন্ত্রী হতে পারবেন। শপথ নেওয়ার ছ'মাসের মধ্যে তাঁকে ভোট জিতে বিধানসভার সদস্য হতে হবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক, মন্ত্রিসভায় কারা কারা জায়গা পেতে চলেছেন। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ২৪ জন। তাঁরা হলেন-
সুব্রত মুখোপাধ্যায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
অমিত মিত্র
সাধন পান্ডে
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
বঙ্কিম হাজরা
সৌমেনকুমার মহাপাত্র
মলয় ঘটক
অরূপ বিশ্বাস
উজ্জ্বল বিশ্বাস
অরূপ রায়
ফিরহাদ হাকিম
চন্দ্রনাথ সিনহা
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
ব্রাত্য বসু
শশী পাঁজা
গোলাম রাব্বানী
বিপ্লব মিত্র
জাভেন খান
স্বপন দেবনাথ
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
১০ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। তাঁরা হলেন-
বেচারাম মান্না
সুব্রত সাহা
হুমায়ুন কবীর
অখিল গিরি
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
রত্না দে নাগ
সন্ধ্যারানি টুডু
বুলুচিক বরাইক
সুজিত বসু
ইন্দ্রনীল সেন
অন্যদিকে, রাষ্ট্রমন্ত্রী হতে চলেছেন ৯ জন। তাঁরা হলেন-
দিলীপ মন্ডল
শিউলি সাহা
শ্রীকান্ত মাহাতো
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্যোৎস্না মান্ডি
পরেশ অধিকারী
মনোজ তিওয়ারি।
উপনির্বাচনের ভ্রুকুটি! ভোট শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা এবং লোকসভা এবং রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচন হতে পারে।
একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর এমনই সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক জায়গায় সাংসদরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন।
কিন্তু নিয়ম অনুসারে তিনি ৬ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। তবে ওই সময় কালে তাঁকে ভোটে জিতে আসতে হবে। ইতিমধ্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়ে নিয়েছেন। নিজের কাজও শুরু করে দিয়েছেন।
এবারের ভোটে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে। কারণ সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।
যিনি এক সময়ে তৃণমূলে ছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম 'কাছের মানুষ' বলে পরিচিত ছিলেন। শুভেন্দু মমতাকে হারিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে উপনির্বাচনের জিতে আসতে হবে।