২০১১ থেকেল২০১৬ সালের মধ্যে তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বেড়েছে অনেক। হাইকোর্টে এই মর্মে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় ED-কে পক্ষ করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
সেই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, শিউলি সাহার মতো নেতা-নেত্রীরাও।
হাইকোর্টের রায়ের কপি দেখিয়ে ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন শুধু তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রী নন। তালিকায় রয়েছেন অধীর চৌধুরী, আবু হেনা, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও নেপাল মাহাতোর নাম। অথচ সেই নামগুলো সামনে আনা হচ্ছে না। অর্ধসত্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : 'বেড রেস্টে আছি....'CBI-কে চিঠি অনুব্রতর
এর আগে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'পার্থ যা করেছে লজ্জিত, তার মানে এই নয় TMC-র সবাই চোর।' তিনি আরও বলেন, 'সম্পত্তি নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। আমরা কেউ সম্পত্তি লুকোইনি। একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। যে সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে সেটা কি আমরা আয়কর বিভাগকে জানাইনি? আমরা কি কোনও তথ্য গোপন করেছি? আমি ছোটোবেলা থেকে নিজে ব্যবসা করি। রোজগার করা তো অন্যায় নয়। দেশের কোন সংবিধানে লেখা আছে রোজগার করা অন্যায়?'
আরও পড়ুন : ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছে Paytm, কীভাবে আবেদন করবেন?
ব্রাত্য বসু বলেন, 'শুধু তৃণমূলের নয়। কংগ্রেস ও সিপিএম নেতাদের নামও রয়েছে সেই জনস্বার্থ মামলায়। সেখানে নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, আবু হেনা, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও নেপাল মাহাতোর। আমরা বলতে চাইছি সামাজিক যে বয়ান তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তার অবসান হওয়া দরকার। তবে আমরা হাইকোর্টের রায়কে সম্মান করি।'
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আইনজীবী শামিম আহমেদ হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নেতা-মন্ত্রীদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। সেই পুরো বিষয়টা যেন খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই মামলায় ED-কে পার্টি করার নির্দেশ দেয় মহামান্য আদালত।