বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital)-এর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (West Bengal Clinical Establishment Regulatory Commission)। তারপর অতিরিক্ত টাকা ফেরানোর নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার ব্যানার্জি।
কোন কোন হাসপাতালে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল
দশটি মামলার শুনানি হয়েছে। ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিধাননগরের বাসিন্দা বসন্তকুমার দামানি অভিযোগ জানান। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। দু'মাসের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা রোগীকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অন্যদিকে, ওহায়ো হাসপাতালের বিরুদ্ধে সুপ্রতিম পুরকায়েত নামে একজন অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ অতিরিক্ত বিল নেওয়া হয়েছে। কমিশন তার অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রায় ১৮ হাজার টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্য একটি অভিযোগ মহাত্মা গান্ধী রোডের ওপর আরতি নার্সিংহোম বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মানস ঘোষ নামে এক রোগী। তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখে ১৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (West Bengal Clinical Establishment Regulatory Commission)।
আরও একটি অভিযোগ মেদিনীপুরের সেন্ট জোসেফ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীর নাম মৃন্ময়কান্তি ভুঁইয়া। তাঁর পরিজন সায়ন দেব ভুঁইয়া বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। পায়ের হাঁটুর উপরের অংশ ভেঙে যায়। হাসপাতালে ভর্তির পর ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু পেইনকিলার দিয়ে রোগীকে ফেলে রাখা হয়েছিল ঘন্টা চারেক। সিনিয়র কোনও চিকিৎসক দেকেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর কোনো যত্ন নেননি। ফলে রোগী কোমায় চলে যান। এরপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এক হাসপাতালে। রোগী পরিবারকে দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি কমিশনের পর্যবেক্ষণ, আরও ভালো পরিকাঠামো রয়েছে এমন কোনও হাসপাতালে রোগীকে হস্তান্তরের প্রয়োজন ছিল। আর ওই হাসাপাতালেরই সেই ব্যবস্থা করা উচিত ছিল।
অন্য একটি ঘটনা দুর্গাপুরের হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি করা হয় আসানসোলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব সিংয়ের বাবা রাজনারায়ন সিংকে। ২৭ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসা হয় তারপর তিনি মারা যান ২১ জুলাই। চিকিৎসায় গাফিলতির সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছেন রাজীবববাবু। যেহেতু রোগী সিসিইউ-তে ছিলেন, তাই আর জি কর হাসপাতালের সিসি ইনচার্জ ডাঃ সুগত দাশগুপ্তের মতামত নেবে স্বাস্থ্য কমিশন (West Bengal Clinical Establishment Regulatory Commission)। তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।