Apple or Guava: একদিকে টকটকে লাল আপেল। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। দামও অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে তুলনামূলক কম দামের পেয়ারা। সেটিও খেতে বেশ মজার। কিন্তু কাশ্মীরের আপেল, নাকি বাংলার পেয়ারা, কোনটি খাওয়া বেশি উপকারী?
অনেকেই পথ্য হিসাবেও আপেলের কথা বলে থাকেন। আপেলের গুণের কদর সর্বত্র। সাহেবরা বলেন, দিনে একটি করে আপেল খেলে তা চিকিত্সককে দূরে রাখেন। অর্থাত্ আপেলের এমনই গুণ যে, নিয়মিত খেলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে পেয়ারা খেতে বেশ মজাদার। তবে পুষ্টিগুণের আলোচনা হলে, পেয়ারাকে সেভাবে কেউ পাত্তা দেন না। পেয়ারার পুষ্টিগুণ নিয়ে তাই সেভাবে কোনও কথাই বলা হয় না। কিন্তু এই অতি সাধারণ পেয়ারারও গুণ নেহাত্ কম নয়।
আপেল ও পেয়ারার দামে অনেক পার্থক্য। তবে এখন বাজারে পেয়ারার দামও একেবারে কম নয়। বাজারে একটি বারুইপুরের পেয়ারার দাম ১৫-২০ টাকার আশেপাশে। তবে সেখানে কাশ্মীরি আপেলের দাম অন্তত ৩০-৪০ টাকার মতো। দুই ফলের এই দামের ফারাকের কারণে অনেকেই আপেলকে অনেক বেশি উপকারী মনে করেন। অন্যদিকে পেয়ারাকে হেলাফেলা করা হয়।
আপেলের গুণ
আপেলের গুণের অন্ত নেই। এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা। আপেলে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপারের মতো ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। শুধু তাই নয়, আপেলে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও ভরপুর।
তাই নিয়মিত আপেল খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত খেলে হার্টের রোগ থেকে ডায়াবেটিস, সবই প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ফলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন আপেল খেলে দীর্ঘ মেয়াদে অনেক উপকার পাবেন।
পেয়ারার গুণ
পেয়ারাও কিন্তু কোনও অংশে কম যায় না। পেয়ারায় সবচেয়ে বেশি যেটি আছে, সেটি হল ভিটামিন সি। অর্থাত্, সর্দি-কাশির ধাত থাকলে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে উপকার পাবেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি সাহায্য করে। তাছাড়া এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে।
তাছাড়া পেয়ারাতে বিপুল পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই যাঁদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা পেয়ারা খেলে উপকার পাবেন। ডায়াবেটিসের মতো রোগ থাকলেও পেয়ারা খেতে পারেন। কারণ পেয়ারায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।
ফলে পেয়ারাও আপেলের থেকে কোনও অংশে কম নয়।