Importance of Sleep: রোজ রাতে এই ভুল করলে কমে আয়ু! শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বড়সড় রোগ
ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমান। এর ফলে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কলকাতা,
- 14 Feb 2024,
- (Updated 16 Feb 2024, 3:30 PM IST)
হাইলাইটস
- ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
- কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমান। এর ফলে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমান। এর ফলে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শারীরিক ক্ষতি:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস: ঘুমের অভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: ঘুমের অভাবে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- স্থূলতা: ঘুমের অভাবে শরীরে 'ঘ্রেলিন' নামক হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। এর ফলে অতিরিক্ত খাওয়া এবং স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- মধুমেহ: ঘুমের অভাবে শরীরে 'ইনসুলিন' নামক হরমোনের কার্যকারিতা কমে যায়। এর ফলে মধুমেহের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- হজমের সমস্যা: ঘুমের অভাবে হজমশক্তি কমে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক ক্ষতি:
আরও পড়ুন
- মনোযোগের অভাব: ঘুমের অভাবে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে কাজের ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল: ঘুমের অভাবে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নতুন তথ্য মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
- মেজাজের পরিবর্তন: ঘুমের অভাবে মেজাজের পরিবর্তন, হতাশা এবং উদ্বেগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- বিষণ্ণতা: দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের অভাবে বিষণ্ণতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসকদের পরামর্শ:
- প্রতি রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
- শোবার ঘরটি অন্ধকার, শান্ত এবং শীতল রাখুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ঘুমের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।