scorecardresearch
 

No Sugar Effect: এক সপ্তাহ চিনি না খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়বে? অবাক হবেন...

চিনি তাৎক্ষণিক ক্যালোরি দেয়। মুড ভাল করে। কিন্তু লক্ষ্য করবেন, চিনি দেওয়া খাবার ৩-৪ ঘণ্টা পর এনার্জি কমে যায়। দুর্বল লাগে, মনযোগ বসে না। তখন আবার কিছু খেতে ইচ্ছা করে।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • মিষ্টি খেতে কার না ভাল লাগে! আসলে আমাদের সংস্কৃতি, বেড়ে ওঠা সবকিছুর সঙ্গেই এই মিষ্টি স্বাদটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে।
  • মিষ্টির সঙ্গে আমরা অনেকাংশেই আমাদের ভাল লাগাকে জড়িয়ে ফেলি। মিষ্টি খেলেই তাই মাথায় মন খুশি করার হরমোন- অক্সিটোসিনের ক্ষরণ হতে থাকে।
  • চিনি ছাড়ার পর এই সমস্যাটা কমে যাবে। শরীরে ক্লান্তি ভাব আগের তুলনায় কম অনুভব করবেন। 

মিষ্টি খেতে কার না ভাল লাগে! আসলে আমাদের সংস্কৃতি, বেড়ে ওঠা সবকিছুর সঙ্গেই এই মিষ্টি স্বাদটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। কীভাবে? ধরুন কারও বাড়িতে ছোট শিশু থাকলেই, তাকে মিষ্টি চকোলেট, ক্যান্ডি উপহার দেওয়া হয়। আবার কোনও শুভ অনুষ্ঠানেও মিষ্টিমুখ করানো হয়। এভাবে মিষ্টির সঙ্গে আমরা অনেকাংশেই আমাদের ভাল লাগাকে জড়িয়ে ফেলি। মিষ্টি খেলেই তাই মাথায় মন খুশি করার হরমোন- অক্সিটোসিনের ক্ষরণ হতে থাকে। ফলে আমাদের বারবার মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করে। 

চিনি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর
মুশকিল হল, সোজা ভাষায়, চিনি খাওয়াটা কিন্তু খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। অল্প চিনি খেলে তা-ও ঠিক আছে। কিন্তু নিয়মিত মাত্রারিতিক্ত চিনি খেলে তা স্বাস্থ্যের বারোটা বাজাতে বাধ্য। 

চিনি এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা-কফিতে চিনি খাবেন না। তেমনই চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবারও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ, সন্দেশ, রসগোল্লা, কেক, পেস্ট্রি, পায়েস, হালুয়ার মতো খাবার মাসে এক-দুইদিনের বেশি না খাওয়াই ভাল। 

আরও পড়ুন

তবে মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হলে?
ভিন্ন উপায় আছে। চিনির বদলে মধু, গুড়ের গুঁড়ো অনেক ভাল অপশন। বরং উপকারও পাবেন। চা-কফিতে এগুলি ব্যবহার করতে পারেন। একইভাবে সাধারণ চিনির সন্দেশের তুলনায় গুড়ের কাঁচাগোল্লার মতো সন্দেশ বেশি ভাল।

চিনি খেতে কেন বারণ করা হচ্ছে?
শুধু ডায়াবেটিস থাকলেই যে চিনি এড়াবেন, এমনটা নয়। চিনি অত্যাধিক খেলে তার থেকে হৃদরোগ, মোটা হয়ে যাওয়া, ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। 

ব্রিটেনের নামজাদা ক্রীড়া পুষ্টিবিদ জেস হিলার্ড জানিয়েছেন, 'চিনি কার্বোহাইড্রেটের একটি রূপ। এই কার্বোহাইড্রেট রুটি, আলু, ভাত, পাস্তা, কলা, চিপস, বিস্কুটেও থাকে।' কিন্তু ফারাকটা হল, চিনি তার প্রায় শুদ্ধ রূপ। এতে সেভাবে কোনও উপকার ছাড়াই প্রচুর খালি ক্যালোরি পাবেন। 

Advertisement

প্রক্রিয়াজাত চিনি, এবং সেটা যেসব খাবারে ব্যবহার করা হয়, সেগুলি স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে। এর থেকে-

১. মনযোগ বসাতে অসুবিধা
২. মাথা যন্ত্রণা
৩. মেদ বৃদ্ধি
৪. হৃদরোগ
৫. ডায়াবেটিস
৬. স্ট্রোক 
-ইত্যাদি সহ একাধিক রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 

এক মাস চিনি ছেড়ে দিলে কী হবে?
১. ত্বক:
প্রথমেই ফারাক দেখবেন ত্বকের স্বাস্থ্যে। এক মাস চিনি ছাড়ার পর দেখবেন ত্বকের জেল্লা আগের তুলনায় বেড়েছে। বিশেষত তৈলাক্ত ত্বক থাকলে বেশি করে ফারাক টের পাবেন। ত্বক আগের তুলনায় পরিষ্কার থাকবে। 

আসলে চিনি প্রোটিন এবং লিপিডকে গ্লাইকেশন নামক একটি প্রক্রিয়ায় আবদ্ধ করে। এর ফলে ত্বকের ভিতরের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন-এর উপর প্রভাব পড়ে। 

২. ভুঁড়ি: এক মাস চিনি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে অতিরিক্ত মেদ কমতে শুরু করবে। চিনির পাশাপাশি তৈলাক্ত খাবার, অতিভোজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এক মাসেই অনেকটা ভুঁড়ি কমাতে পারবেন। 

৩. এনার্জি বাড়বে: চিনি তাৎক্ষণিক ক্যালোরি দেয়। মুড ভাল করে। কিন্তু লক্ষ্য করবেন, চিনি দেওয়া খাবার ৩-৪ ঘণ্টা পর এনার্জি কমে যায়। দুর্বল লাগে, মনযোগ বসে না। তখন আবার কিছু খেতে ইচ্ছা করে।

চিনি ছাড়ার পর এই সমস্যাটা কমে যাবে। শরীরে ক্লান্তি ভাব আগের তুলনায় কম অনুভব করবেন। 

TAGS:
Advertisement