সুস্থ শরীরের জন্য ওজন সঠিক রাখা প্রয়োজন। সকলেই ফিট থাকতে চায়। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষকে ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় পড়তে হয়। ওজন হঠাৎ অনেক বেড়ে গেলে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। এই ওজন হ্রাস অনেকের জন্য একটি খুব কঠিন যাত্রা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন বজায় রাখা।
ওজন কমানোর কোনও শর্টকাট নেই। তবে কিছু জিনিস আছে যা আপনাকে ওজন কমানোর যাত্রা কিছুটা সহজ করে। অনেক ক্ষেত্রে বহু চেষ্টার পরও ওজন কমে না। ওজন না কমার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। অনেক সময় মানুষ এমন কিছু ভুল করে ফেলে, যার কারণে তাদের ওজন একেবারেই কমে না। শরীরকে ফিট রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এমন কিছু খাবার আছে, যা বেশি করে খাওয়া উচিত। কারণ এই ধরনের খাবার শরীরের চর্বি এবং ক্যালোরি বার্ন করে ওজন কমাতে সহায়ক।
* চর্বি কমানোর জন্য সর্ষের তেল ব্যবহার করা উচিত। সর্ষের তেলে অন্যান্য তেলের তুলনায় কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। সুতরাং আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে রান্নার জন্য সর্ষের তেল ব্যবহার করুন। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যালোরি বার্ন করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
* হলুদের শক্তিশালী ফ্যাট-বার্নিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরের চর্বি ভেঙে হজম করতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না। এটি খারাপ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপও কমাতে পারে। এতে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
* ওজন কমাতেও রসুন খাওয়া উপকারী। রসুন মস্তিষ্কে একটি সংকেত পাঠায় যে পেট ভর্তি, ফলে খিদে পায় না। এতে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীর থেকে কোলেস্টেরল এবং নোংরা চর্বি দূর করে। রসুন খেলে ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* বাটারমিল্কে মাত্র ২.২ গ্রাম ফ্যাট এবং ৯৯ ক্যালোরি থাকে। ওজন কমাতে বাটারমিল্ক খুবই সহায়ক। নিয়মিত বাটারমিল্ক খেলে চর্বি ও ক্যালোরি ছাড়াই শরীরে সব পুষ্টি পাওয়া যায়।
* মধু ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা, কোলেস্টেরল এবং চর্বি কমায়। পুষ্টির একটি ভাল উৎস হওয়ায় ওজন কমানোর জন্য মধু দারুণ উপকারী।