পুরুষদের যৌনক্ষমতার ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা অনুযায়ী, গত কয়েকবছরে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমেরিকার বিজ্ঞানীদের দাবি, ১৯৮৭ সালের ৬০ বছরের পুরুষদের তুলনায় গত কয়েকবছরে ওই একই বয়সের পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। ইউরোপ মহাদেশেও একই জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির জেরে পুরুষের যৌনক্ষমতা। তাদের যৌন আকাঙ্খা মিটছে না। আর এই সমস্যা দূরিকরণে ইংল্যান্ডের পুরুষদের একাংশ এক বিশেষ টেস্টোস্টেরন হরমোন থেরাপির সাহায্য নিচ্ছেন। আর এতে ফলও নাকি হাতে নাতে পাচ্ছেন পুরুষরা। তাই এই থেরাপির প্রচার বাড়ছে। এমনই এক যুবক জানিয়েছেন, যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তিনি ২৮ বছর বয়স থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন থেরাপি নিচ্ছেন।
ডেনিয়েল নামের ওই যুবক জানিয়েছেন, টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির জেরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন। ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছিলেন। সেক্স করার ইচ্ছেও কমে যাচ্ছিল। উত্তেজনা বোধ করছিলেন না। অনেক পরীক্ষা তিনি করিয়েও ফল পাচ্ছিলেন না।
ডেনিয়েল জানান, তাঁর কোনও ধারনা ছিল না যে, টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির জন্য এই সব হচ্ছে। তাঁর কথায়, 'আমি ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম। পরে পরীক্ষা করে জানতে পারলাম আমার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ ৪০ বছর বয়স্ক মানুষের মতো।'
এরপর এই নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন ডেনিয়েল। তাঁর টেস্টোস্টেরন হরমোন থেরাপি শুরু হয়। ডেলিয়েল জানান, এই থেরাপিতে তাঁকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হতো। আর তিনি সেই ইঞ্জেকশন নেওয়া শুরু করার করেক মাসের মধ্যেই বুঝতে পারেন যে, ভালো ফল পেতে শুরু করেছেন।
ডেনিয়েল এখন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতো সংকটে যে সব পুরুষরা পড়েন তিনি তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এই নিয়ে ডেনিয়েল একটি বইও লিখেছেন।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই সমস্যা সব থেকে বেশি ভোগ করছেন ইংল্যান্ডের যুবকরা। এই থেরাপি শুরু হওয়ার পর পুরুষদের ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সিন্থেটিক হরমোন দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মাত্র ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই এর রেজাল্ট পাওয়া যায়।