পেট ব্যথা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। অনেক সময় ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। কেউ কেউ পেট ব্যথার ওষুধ খান বা বেশি সমস্যা হলে কেউ চিকিৎসকের কাছে যান। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একটি ছেলে পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। তার রিপোর্ট দেখে অবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা। পরীক্ষা করে দেখা যায় তার পেটে স্টিলের গ্লাস আটকে আছে। এই বিষয়টি কোথায় এবং পেটে আটকে থাকা স্টিলের গ্লাসের কী হয়েছিল, আমরা এই নিবন্ধে সে সম্পর্কে জানব।
পুরো ব্যাপারটা কি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি বিহারের বেত্তিয়ারের। ২২ বছর বয়সি একটি ছেলের কয়েকদিন আগে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা হয় এবং মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে থাকে। বিষয়টির গুরুত্ব দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা যখন তাকে পরীক্ষা করেন, রিপোর্টে জানা যায় যে তার পেটে ১৪ সেন্টিমিটার (৫.৫ ইঞ্চি) লম্বা স্টিলের গ্লাস আটকে আছে। শরীরের ভিতরে আটকে থাকার কারণে তার মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে।
আড়াই ঘণ্টার অপারেশন
অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বদানকারী ডা. ইন্দ্রশেখর কুমার জানান যে এই অস্ত্রোপচারটি ১১ জন ডাক্তারের একটি দল করেছে এবং সফলভাবে শরীর থেকে স্টিলের গ্লাসটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ছেলেটির শরীর থেকে গ্লাসটি সরানোর জন্য একটি কোলোস্টমি করা হয়েছিল। এটি একটি সার্জারি যেখানে অন্ত্রে একটি গর্ত তৈরি করা হয় এবং একটি ব্যাগ লাগানো হয়। যাতে ক্ষত নিরাময় করা যায়।
কয়েক দিনের মধ্যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং জানুয়ারিতে তার কোলোস্টোমি অপসারণ করা হবে। চিকিৎসকদের দাবি, ছেলেটি যখন নেশাগ্রস্ত ছিল, তখন নিশ্চয়ই এই স্টিলের গ্লাস তার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই তার কিছুই মনে নেই।
মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তলপেটে ব্যথায় ভুগছিলেন। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ভিন্দের জেলা হাসপাতালে যান। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড ও এক্স-রে করতে বলেন। রিপোর্ট এলে ডাক্তাররাও দেখে অবাক। প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির মূত্রথলিতে একটি পেরেক আটকে গিয়েছিল, যার কারণে তার ব্যথা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সেই পেরেকটি প্রায় এক বছর ধরে তার মূত্রাশয়ে আটকে ছিল।