সাধারণ নুন খাওয়া একেবারেই যে অনুচিত তা বারংবার চিকিৎসকেরা বলে এসেছে। কাঁচা নুন শরীরের অপকারই করে। কিন্তু তাও নুন ছাড়া কোনও খাবারেই স্বাদ পাওয়া যায় না। তাই রান্নায় লবণ দেওয়া হোক বা না হোক, খাবার টেবিলেও লবণ রাখি আমরা, যাতে পছন্দ মতো ছড়িয়ে নিতে পারি। তবে সাদা নুন যদি একান্তই ছাড়তে না পারি তার বিকল্প হিসাবে বিটনুনকে বেছে নেওয়া যায়। আর বিটনুনের গুণাগুণ বহু। কিন্তু তাও এর উপকারিতা নিয়ে অনেকেরই ঠিকঠাকভাবে কোনও ধারণা নেই।
হজম সমস্যা দূর করে
আপনার যদি বদহজমের সমস্যা থাকে আর বমি বমি ভাব হয় তবে বিটনুন খেলে সেই সমস্যা চলে যাবে। অম্বলের সমস্যা দূর করতেও এর জুড়ি নেই। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে লেবুর রস এবং আদার রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
ওজন কমে
শুধু তাই নয়, নিয়মিত বিটনুন খেলে তরতরিয়ে কমে ওজনও। কারণ এতে শরীরের কোষগুলিতে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ হয় তাই শরীরের মেদ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
পেশির টান দূর করে
বিটনুনে পটাশিয়াম থাকে। পেশির টান দূর করতে তা সাহায্য করে। ফলে শারীরিক ভাবে সচল থাকতে সহযোগিতা মেলে। এছাড়া হাড়ের ক্ষয় রোধ করার জন্য বিটনুন খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষাতেও উপকারী বিটনুন
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষাতেও উপকারী বিটনুন। বিটনুন খেলে রক্ত পাতলা হয়। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের জন্য উপকারী। তবে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে না খাওয়াই ভাল।
স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
বিটনুনে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, এমনকি ক্যালসিয়ামও থাকে। সেডিয়ামের মাত্রা কম থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
বুকজ্বালা কমায়
বুকজ্বালা বা পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা থাকলে পাতে রাখতে পারেন বিটনুন। এর মধ্যে থাকা অ্যালকালাইন উপাদান অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী
ত্বকের জন্যও উপকারী বিটনুন। পা ফাটলে বা শুষ্ক ত্বক হলে উষ্ণ জলে বিটনুন মিশিয়ে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। উপকার পাবেনই।