Food For Season Change : গোটা দেশের বিভিন্ন অংশে এখন বৃষ্টি চলছে। এ রাজ্যের দক্ষিণ থেকে উত্তর, বিরাম নেই কোথাও। এর ফলে এই ভরা শরতে টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা উত্তরোত্তর কমে যাচ্ছে। আর শীত ঢোকার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত। এমনকী সময়ের আগেও শীত অনুভব হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পথে বেরোলে চট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়া সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ বাইরের তাপমাত্রা খুব একটা কম না হওয়ায় আমরা শীত পোশাক খুব একটা চাপাই না। আর সেই সুযোগে ভাইরাল ফিভার বা অন্যান্য রোগ দ্রুত শরীরে ঝাঁকিয়ে বসে। চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী, যার কারণে সংক্রমণ এবং মশা বাহিত বিভিন্ন রোগ বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ফেলে দিচ্ছেন এই ফলের বীজ? নিয়মিত খেলে মাল্টিভিটামিন লাগবে না
হার্ট এবং ডায়াবেটিসের রোগীরা সাবধান
এই সময় হার্ট এবং ডায়াবেটিসের রোগীদেরও নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। রোগীদের এই সময়ে নিজের বডি হাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরি। জল খাওয়ার সঙ্গে জলে ভরপুর বিভিন্ন ফল খেতে হবে বেশি করে। কিন্তু কিছু এমন জিনিস রয়েছে যাতে এই মরশুমে রোগ জীবাণু থেকে নিজের শরীরকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। যা করে তোলে একেবারে ফিট অ্যান্ড ফাইন।
১. ড্রাই ফুট
ড্রাই ফুট এই মরশুমে শরীরকে অত্যন্ত ভাল সুরক্ষা দেয়। শুকনো মেওয়া, আখরোট, কাজু, পেস্তা এগুলি খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এটি ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলি একাধিক পুষ্টি অর্থাৎ প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর। পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। ড্রাই ফুট, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগের মতো গুরুতর রোগগুলিকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
২.হারবাল চা
এমনিতেই বৃষ্টির মধ্যে চা খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। তবে শরীরে উপকার চাইলে, দুধ বা চিনিযুক্ত চায়ের বদলে হারবাল চা যদি খান তাহলে এটি অত্যন্ত ভাল এবং শরীরকে ইমিউনিটি প্রদান করবে। হারবাল টিতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ, নানা রকম সংক্রমণ থেকে শরীরকে দূরে রাখে। পাশাপাশি শরীরকে হালকা উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে। যা আপনাকে বাইরের তাপমাত্রা থেকে সুরক্ষা দেবে।
৩. গরম জল
এই সময়ে জল একটু ফুটিয়ে হালকা উষ্ণ করে খেলে সবচেয়ে ভাল হয়। তাতে গলা বা মুখে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে তা কোনও রকম ক্ষতি করতে পারে না। যদি নিয়মিত এই বর্ষার সময় খেতে পারেন, তাহলে তা অত্যন্ত ভাল।
৪. স্প্রাউটস
অঙ্কুরিত ছোলা, মটর, মুগ, বিনস এগুলি যদি এই সময় ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায় তাহলে অত্যন্ত ভাল ফল দেয়। বিভিন্ন রকম পুষ্টি রয়েছে এবং ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম সহ নানা রকম খাদ্যগুণ রয়েছে। রক্ত এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে স্প্রাউটস। পাশাপাশি ঠান্ডা শরীরে বসতে পারে না।
৫.তাজা সবজি
বর্ষার সময় তাজা ফল, শাক-সবজি খেতে হবে বেশি করে। টাটকা সবজিতে নানা রকম খাদ্যগুণ থাকে। যাতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিনয়েড, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল শামিল রয়েছে। এগুলি নিয়মিত খেলে ঠান্ডা ঢোকার ঠিক প্রাক মুহূর্তে শরীরকে সুরক্ষা বলায় তৈরি করে দেয়। পাশাপাশি নিয়মিত সেবনে শরীরের সার্বিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ভাল থাকে।
আর কী কী খাওয়া উচিত নয়?
বর্ষার সময়ে ভুলেও কয়েকটা জিনিস খাবেন না। তা হলো পাতা ওয়ালা সবজি। অর্থাৎ শাক পচে যাওয়া কোনও ফল, অ্যালকোহল, অধিক ক্যাফাইন যুক্ত খাবার, আইসক্রিম তেল এবং মশলাওয়ালা জিনিস।
(প্রত্যেকের শরীরের গঠন এবং আলাদা, তাই যে কোনও কিছু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন)