উৎসব উদযাপন হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি অথবা সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই ভরসা রাখেন ঠান্ডা বিয়ারের ওপর। আর গরমকাল হলে তো কথাই নেই। ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিলেই তা সারা শরীরকে শীতল করে দিতে ওস্তাদ। বিয়ারে চুমুক দিয়েই অনেকে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন। মদ্যপান শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ার নাকি অন্ত্রের জন্য উপকারী এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধেরও ক্ষমতা রয়েছে। আসলে বিয়ার খেলে শরীরে এক ধরনের উৎসেচক তৈরি হয়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি বিয়ারের সঙ্গে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেগুলি কী?
মশলাদার খাবার
বিয়ারের সঙ্গে ভাজাভুজি, মশলালাদার খাবার অনেকেই খেয়ে থাকেন। ঠান্ডা বিয়ারের সঙ্গে ঝাল ঝাল খাবার খাওয়ার অনুভূতি আলাদা। তবে বেশি তেলমশলাদার খাবার বিয়ারের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। এতে পেটের নানা গোলমাল দেখা দিতে পারে।
টকজাতীয় খাবার
কমলালেবু, আমলকি এবং অন্যান্য টক জাতীয় খাবার কখনই বিয়ারের সঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই ধরনের ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। আবার বিয়ারেও অ্যাসিড উপাদান রয়েছে। ফলে দু’টি একসঙ্গে খেলে অম্বল, বদহজম হতে পারে।
পাউরুটি
বিয়ারের সঙ্গে কখনই পাউরুটি বা সেটা দিয়ে তৈরি কোনও ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়।
বাদাম
বিয়ারের সঙ্গে অনেকেই নোনতা কাজু, বাদাম খেতে ভালোবাসেন। বাদাম ও বিয়ারের জুটি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু যে বাদামগুলিতে নুনের পরিমাণ বেশি, সেগুলি বিয়ারের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। এতে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নুনজাতীয় খাবার
পকোড়া, চিপস, চানাচুরের মতো মুখরোচক খাবার একেবারেই বিয়ারের সঙ্গে খাবেন না। নুন আর বিয়ার যদি একসঙ্গে পেটে যায়, তাহলে বমি, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে।
ডার্ক চকোলেট
অনেকে অ্যালকোহলের সঙ্গে চকোলেট খেতে পছন্দ করেন। বিয়ারের সঙ্গে চকোলেট খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। দু’টি একসঙ্গে খেতে ভাল লাগে ঠিকই। কিন্তু এতে পেটের নানা সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে যাঁদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই দু’টি খাবার একসঙ্গে খেলে বিপদ হতে পারে।