Graphology Graphotherapy: এখন বর্তমান কম্পিউটার ও ইমেলের যুগ। হাতে-কলমে চিঠি, আবেদন ইত্যাদি লেখার সুযোগ হয়তো কমে গেছে। কিন্তু হাতের লেখা বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতের লেখা যে কোনও মানুষের ব্যক্তিত্বের আয়না।
হাতের লেখার সাহায্য়ে জানা যায়
যে কোনও মানুষের হাতের লেখার সাহায্যে সেই ব্যক্তির আচার-আচরণ, তাঁর জীবনযাত্রার পাশাপাশি আরও অনেক কিছু শনাক্ত করা যায়। হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞ ভি সি মিশ্র বলেন, একজন ব্যক্তির সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে তাঁর লেখার কাঠামো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, 'অপরাধী ধরা, জাল স্বাক্ষর ইত্যাদির ক্ষেত্রে হাতের লেখার গুরুত্ব অনেকেরই জানা রয়েছে। তবে এর সাহায্যে মানুষের আচরণ, আচার, জীবনযাপন ইত্যাদি জানা যায় বলে খুব কম মানুষই জানেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ১০ হাজারে Redmi 10, ধামাকাদার ফোনে কী কী ফিচার?
আরও পড়ুন: গোলাপি স্কার্ট-টপে ঝলমলে Monalisa 'ঝুমা বৌদি', ছবি VIRAL
বিশ্লেষণ
তিনি আরও বলেন, “অযত্নহীন মানুষের লেখায় চিঠিগুলো খুব এলোমেলোভাবে লেখা হয়। যেখানে শৃঙ্খলা ভালবাসেন তাঁরা খুব সাবধানে লেখেন। আসলে হাতের লেখাকে বলা হয় 'মস্তিষ্কের লেখা'। আপনার আচরণ, আদর্শ আপনার হাতের লেখায় প্রতিফলিত হয়।
নিজের স্টাইল
তিনি বলেন, '১২-১৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু মা-বাবা বা স্কুলের শিক্ষকরা যেভাবে বলবেন, সেভাবে লেখার চেষ্টা করলেও তার পর সে তার নিজস্ব স্টাইল তৈরি করতে শুরু করে। যা তার ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে। এই প্রক্রিয়াটি ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
আরও এক হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞ মানসী বলেন, যে কোনও মানুষের হাতের লেখা থেকে অনেক মানসিক সমস্যা শনাক্ত করা যায়।
মানসী বলেন, 'হাতের লেখার সাহায্যে একজন ব্যক্তির মধ্যে মানসিক চাপ ইত্যাদির লক্ষণ পাওয়া যায়। কারও আত্মহত্যার কথা মাথায় ঘোরেফেরা করছে কি না, তা দেখেও নিশ্চিত হওয়া যায়।
যা ভাবছেন, সেটাই বলছে লেখা
এ বিষয়ে মিশ্র বলেন, আপনিও সেটাই লেখেন, আপনার মনে যে ধরনের চিন্তাভানা চলছে। তাই হাতের লেখার মাধ্যমে অনেক মানসিক সমস্যা শনাক্ত করা যায়। শুধু মনস্তাত্ত্বিক নয়, কিছু সময় শারীরিক সমস্যাও এর সাহায্যে ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, 'হৃদরোগ, রক্তচাপ, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ সংক্রান্ত কিছু রোগ হাতের লেখা দেখে শনাক্ত করা যায়। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে এটা যে কোনও ব্যক্তির হাতের লেখায় তার চিহ্ন রেখে যায়, তবে এটি একটি চিকিৎসা নির্দেশকের মতো এবং এটি নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তার ইত্যাদির সাহায্য নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বামেদের দ্বিতীয় করার চেষ্টা হয়েছে: TMC-CPIM 'আঁতাত' নিয়ে দিলীপ
আরও পড়ুন: একগুচ্ছ পদে ইঞ্জিনিয়ার নিচ্ছে রেল, আকর্ষণীয় মাইনে, আবেদনের খুঁটিনাটি
মিশ্র বলেন, শুধুমাত্র হাতের লেখার মাধ্যমে মানসিক সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যায় না, এতে পরিবর্তন এনে অনেকাংশে দূর করা যায়।
তিনি বলেন, 'হস্তাক্ষরের অধ্যয়নকে 'গ্রাফোলজি' বলা হয় এবং এটা পরিবর্তন করে যে চিকিৎসা করা হয় তাকে 'গ্রাফোথেরাপি' বলে।
মিশ্র বলেন, আজকাল অনেক বহুজাতিক কোম্পানিও হাতে লেখা আবেদনপত্র নেয় এবং তাদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে কর্মী বাছাই করা হয়। এই ডিসিপ্লিনটিকে 'অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স' ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হয় এবং এটি 'পারফেক্ট সায়েন্স'-এ রাখা হয় না।
কম্পিউটার ও টাইপিংয়ের এই যুগে মানুষের লেখালেখির প্রবণতা বাড়াতে 'হস্তাক্ষর দিবস' পালিত হয়।