Neem Benefits: যদি আপনার বাড়িতেই একটি নিম গাছ থাকে তবে আপনি সত্যিই ভাগ্যবান। গ্রীষ্মে শীতল বাতাস দেওয়ার পাশাপাশি এটি এমন একটি গাছ যার প্রতিটি অংশ কোনও না কোনও রোগের চিকিৎসায় কার্যকর। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরিতেও নিম বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। নিমের গুণ কত তার কোনও সীমা নেই।
নিমের উপকারিতা:
১. জ্বলে গেলে কাজে লাগে
রান্নার সময় বা অন্য কোনও কারণে হাত পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিম পাতা পিষে সেই স্থানে লাগান। এতে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক গুণ ক্ষতকে বেশি বাড়তে দেয় না।
২. কানে ব্যথা
কানে ব্যথা হলে নিমের তেল ব্যবহার করলে খুব উপকার পাওয়া যাবে। অনেকের কানের সমস্যাও থাকে, নিমের তেলও এই ধরনের মানুষের জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার।
৩. দাঁতের জন্য
সম্প্রতি পর্যন্ত, নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজা, দাঁত ব্রাশের চেয়ে বেশি উপকারী। একদিকে যেমন দাঁত ও মাড়ির যত্নে আমরা বিভিন্ন ধরনের দামি টুথপেস্ট ব্যবহার করি, অন্যদিকে নিমের দাঁতই যথেষ্ট। পেয়োরিয়া প্রতিরোধেও নিমের দাঁতন কার্যকর।
৪. চুলের জন্যও উপকারী
নিম খুবই ভালো কন্ডিশনার। এর পাতা জলে সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে চুল ধুলে খুশকি ও ছত্রাকের সমস্যা দূর হয়।
৫. ফোঁড়া এবং অন্যান্য ক্ষতগুলিতে প্রয়োগ করলে কী হয়
অনেক সময় এমন হয় যে পরিষ্কার রক্তের অভাবে সময়ে সময়ে ফোঁড়া হয়। এমন অবস্থায় নিম পাতা পিষে আঘাতের স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়াও এর জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ব্রণ হয় না।
আয়ুর্বেদিকদের মতে, নিমপাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী থাকে। এটি ত্বকের সংক্রমণ, ব্রণ এবং ত্বক সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। খালি পেটে নিমপাতা খেলে পেট পরিষ্কার হয়। লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
এছাড়াও পোকামাকড়ের কামড়, চুলকানি, দাদ ইত্যাদি ত্বকের সমস্যায় হলুদের সাথে নিম পাতার পেস্ট মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। নিম মুখের ব্রণ ও দাগ দূর করে।