Teesta Torsha Train Will Stop To Belakoba Staion: এতদিন স্টপেজ না থাকায় বেশিরভাগই নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) যেতে হত। কারণ নিকটে স্টেশন থাকলেও তাতে দূরপাল্লার ট্রেন থামতো না। এবার গজলডোবার পর্যটনকেন্দ্র ভোরের আলোর সবচেয়ে কাছে বেলাকোবা স্টেশনে থামবে তিস্তাতোর্ষা এক্সপ্রেস বলে ঘোষণা করে দিয়েছে রেল। এর ফলে কলকাতা থেকে সরাসরি ভোরের আলোর কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকরা। এতে খরচও অনেকটাই কমবে। কারণ এনজেপি স্টেশনে নেমে গাড়িভাড়াতে অনেকটা খরচ হয়ে যায় পর্যটকদের।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কমবে ওষুধ ছাড়াই, ভরসা রাখুন ৭ পানীয়তে
পর্যটকদের হাতে তৈরি হল উন্নত বিকল্প
পাশাপাশি কলকাতা যেতেও খরচ বাড়ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। কারণ আগে চালু থাকলেও বিগত কিছু বছরে অলাভজনক দেখিয়ে স্টপেজ তুলে নেওয়া হয়েছিল রেলের তরফে। তবে বিগত কিছু বছরে গজলডোবায় পর্যটনকেন্দ্র তৈরি হওয়ায় যাত্রী বেড়েছে। যদিও বিকল্প না থাকায় সবাই এনজেপি স্টেশনেই নামত। এবার থেকে আরও একটি বিকল্প বলা ভাল উন্নত বিকল্প তৈরি হল যাত্রীদের কাছে। শুক্রবারই স্টপেজের এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। এছাড়াও ধূপগুড়ি স্টেশনে হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রেল।
রেলের ঘোষণা
এই সম্পর্কে রেল বোর্ডের জয়েন্ট ডিরেক্টর বিবেক কুমার সিনহা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদহ গামী ১৩১৪১/৪২ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩০ এপ্রিল থেকে বেলাকোবা রেল স্টেশনে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে ১২৩৪৫/৪৬ হাওড়া থেকে গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ মে থেকে দাঁড়াবে ধুপগুড়ি স্টেশনে। আগামী ৬ মাস পরীক্ষামূলকভাবে দাঁড়াবে এই স্টপেজে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে স্থায়ীভাবে স্টপেজ দেওয়া হবে এই ট্রেন দুটির। এ বিষয়ে সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, বেলাকোবা এবং ধুপগুড়িবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্টপেজের। বিষয়টি তিনি রেল দপ্তর এবং রেলের বিভিন্ন আধিকারিক এর সঙ্গে কথা বলে দাবি পূরণ করা গিয়েছে। এর জন্য তিনি রেল বোর্ড এবং আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও কাছে গজলডোবা
এনজেপি ও বেলাকোবার মধ্যে গজলডোবা থেকে দূরত্বের নিরিখে বেশ খানিকটা দূরত্ব কম বেলাকোবারই। যেখানে এনজেপি থেকে গজলডোবার ন্যূনতম দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার। সেখানে গজলডোবা থেকে বেলাকোবার দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। দূরত্বের দিকে দিয়ে কিছুটা কাছে তো বটেই। তবে এনজেপি স্টেশন শিলিগুড়ি শহরের মধ্যে হওয়ায় সেখানে যানজট এড়িয়ে গজলডোবা পৌঁছতে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় লাগে। অন্যদিকে বেলাকোবা থেকে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে গজলডোবা পৌঁছানো সম্ভব। সব মিলিয়ে খুশি স্থানীয়রা, খুশি পর্যটন সার্কিটও। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্বাদক সম্রাট সান্যাল জানান, যত বেশি যাতায়াতের বিকল্প তৈরি হবে ততই সব ক্ষেত্রেই ভাল। পর্যটনও তার ব্যতিক্রম নয়।