করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই চিকিৎসকরা প্লাজমা থেরাপির (Plasma Therapy) কথা বলছিলেন। বহু করোনাজয়ী মানুষ রক্তদান করে আসছেন প্লাজমা থেরাপির জন্য। তবে নতুন গাইডলাইনে প্লাজমা থেরাপিকে বাতিল ঘোষণা করল AIIMS এবং ICMR. নতুন গাইড লাইনে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
ICMR-এর ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের একটি বৈঠকে প্রায় সকল সদস্য প্লাজমা থেরাপি বাতিল করার পক্ষে সায় দেন। তাঁধের বক্তব্য, প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসায় কোনও প্রভাব ফেলছে না। উপরন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এর ভুল প্রয়োগ করার ঘটনা সামনে এসেছে।
ICMR-এর শীর্ষ বৈজ্ঞানিকদের অন্যতম ডা. সমীরণ পাণ্ডা পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছেন, প্লাজমা থেরাপি করার পর রোগীর কোনও উন্নতি হচ্ছে না। এটি অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ এবং মানুষের মধ্যে এঠা নিয়ে অযথা প্যানিক তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় বোঝা বাড়ানো ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকা নিতে পারেনি প্লাজমা থেরাপি। ডোনরের প্লাজমার গুণগত মান সব সময় সমান থাকছএ না। প্লাজমায় মেলা করোনার অ্যান্টিবডির সংখ্যাও সব সময় নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকছে না। এর ফলেই অসুবিধা বাড়ছে।
এর আগের গাইডলাইনে করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সাত দিনের মধ্যে যদি উপযুক্ত প্লাজমা পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপির অফ লেভেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বহু চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক মুখ্য চিকিৎসা বৈজ্ঞানিক এবং পরামর্শদাতা কে বিজয়রাঘবন-কে চিঠি লিখে প্লাজমা থেরাপি বাতিলের দাবি তোলেন। তার পরই এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তাঁরা চিঠিতে জানিয়েছিলেন, প্লাজমা থেরাপির অবৈজ্ঞানিক প্রয়োগ করা হচ্ছে। চিঠিটি ICMR প্রধান বলরাম ভার্গব এবং AIIMS ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়াকেও পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই সময় দেশের করোনা রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপি কোনও উপকার করছে না। দেশের গবেষকদের রিসার্চও একই কথা বলছে। তার পরেও দেশের বহু হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি চলছে।