scorecardresearch
 

Government Run Jungle Safari: এবার জঙ্গল সাফারি করুন নিরাপদে, চালু হচ্ছে সরকারি প্যাকেজ

Government Run Jungle Safari: নিকটবর্তী স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে পর্যটকদের গাড়িতে তুলে নেওয়া হবে। জঙ্গলের সফর শেষ হলে ফের স্টেশনে বা বিমানবন্দরে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হবে। পর্যটকদের জন্য খাওয়া দাওয়া, তাদের জন্য জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা করবে বনদফতর। অনলাইনেই এই বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

Advertisement
এবার জঙ্গল ঘোরা আরও আকর্ষণীয়, 'সরকারি প্যাকেজ' চালু করতে চলেছে রাজ্য এবার জঙ্গল ঘোরা আরও আকর্ষণীয়, 'সরকারি প্যাকেজ' চালু করতে চলেছে রাজ্য
হাইলাইটস
  • এবার জঙ্গল ঘোরা আরও আকর্ষণীয়
  • 'সরকারি প্যাকেজ' চালু করতে চলেছে রাজ্য
  • বাড়বে পর্যটকদের নিরাপত্তাও

Government Run Jungle Safari: আর বেসরকারি নয়, এবার উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে প্যাকেজ টুর চালু করতে চলেছে খোদ রাজ্য সরকার। বন দফতরের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নিতে চলেছে তারা। জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিশেষত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তথা বিদেশ থেকেও যাঁরা উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে বেড়াতে আসতে চান, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ যথেষ্ট আকর্ষণীয় হবে। চাইলে অবশ্য যে কেউ প্যাকেজের সুবিধা নিতে পারবে। 

কি পরিকল্পনা বনদফতরের? 

মঙ্গলবার মাদারিহাটে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে এ প্যাকেজ ট্যুরের পরিকল্পনার বিষয়টি তুলে ধরেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এতে জঙ্গলে বেড়ানো থেকে হাতি বা জিপ সাফারি, বন বাংলোতে থাকা, স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে পিকআপ এবং ঘোরার পর এনজেপি বা বাগডোগরায় ড্রপ পর্যন্ত সমস্তটাই মিলবে প্যাকেজে। বনদফতরের অধীনে হওয়ায় প্রিমিয়াম প্যাকেজের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। তবে প্যাকেজে সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ অনুযায়ী প্রকারভেদ থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে এখনও সে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে শুরু হবে প্যাকেজ

সূত্রের খবর, এই প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে নিকটবর্তী স্টেশন বা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাওয়ার পরে আর কিছু ভাবতে হবে না পর্যটকদের। সবটাই একেবারে হাতের নাগালের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে নিকটবর্তী স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে পর্যটকদের গাড়িতে তুলে নেওয়া হবে। জঙ্গলের সফর শেষ হলে ফের স্টেশনে বা বিমানবন্দরে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হবে। পর্যটকদের জন্য খাওয়া দাওয়া, তাদের জন্য জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা করবে বনদফতর। অনলাইনেই এই বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়িত হলে পর্যটকরা একেবারে সরকারি বনদফতরের মাধ্যমেই বেড়াতে পারবেন। এজন্য তাঁদের আলাদা করে কোনও ঝামেলা নিতে হবে না। জলদাপাড়াকে মডেল করে প্রথম পর্যায়ে এই পর্যটনের বিশেষ ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুজোর আগে এই নয়া পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

Advertisement

নিরাপত্তা বাড়বে পর্যটকদের

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে জঙ্গল সাফারি করতে গিয়ে গন্ডারের তাড়ায় পর্যটক বোঝাই জিপ উলটে যায়। কপাল জোরে প্রাণ বাঁচে পর্যটকদের। তারপরেই নড়েচড়ে বসে জলদাপাড়া বনবিভাগ। সেই সময় যেমন নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছিল, তেমনই বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছিল জঙ্গল সাফারি করতে আসা পর্যটকদের। এই প্যাকেজ চালু হলে বেসরকারি থেকে সরকারি হাতে চলে এলে বনাধিকারিকদের তত্বাবধানে চলে আসবে গোটা জঙ্গল ভ্রমণ। তাতে পর্যটকরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। পাশাপাসি নিরাপত্তাও অনেকটা সুনিশ্চিত করা যাবে। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে প্যাকেজ জঙ্গল পর্যটন শুরু করতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। বন ও পর্যটন দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই প্রথম শুরু হতে চলেছে জঙ্গলে প্যাকেজ ট্যুর। জলদাপাড়া ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এই দুই জায়গায় প্রায় ১৪টি বনবাংলো তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

 

Advertisement