Darjeeling Rope-Way Resume Soon: দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার ফর ফের দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) ফিরছে পুরোদস্তুর দড়িপথ (Rope-Way)। যা পর্যটনের তরফে একটা নতুন ডায়মেনশন খুলে দেবে বলে মনে করছে সকলেই। খুশি পর্যটন সার্কিট। টয়ট্রেনের পরই যে জিনিসটির আকর্ষণ এখানে সবচেয়ে বেশি ছিল তা হল এই রোপওয়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এটিকে ট্যুর ইটিনারি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন পর্যটন অপারেটররা। ফের এটি জুড়তে পারার আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় তরফে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে তবেই এটি চালু করার দাবি উঠেছে। রাজ্যের তরফে সেই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করে তবেই রোপওয়ে চালু করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুরনো রুটেই চলবে
পর্যটক টানতে নতুন সাজে দার্জিলিং রোপওয়ে (Darjeeling Ropeway)। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের পুরোনো রুটে রোপওয়ে সার্ভিস চালু করতে চায় রাজ্য সরকার। পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের (Tourism Industry) অন্যতম আকর্ষণ দার্জিলিং রোপওয়ে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী ওই রোপওয়ে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ফের চালু করতে। পাশাপাশি, যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া হবে।
দার্জিলিং রোপওয়ের ইতিহাস
১৯৬৮ সালে রাজ্য বন দফতরের উদ্যোগে দার্জিলিংয়ের চকবাজার থেকে সিংলাবাজারের মধ্যে প্রথম এই রোপওয়ে সার্ভিস চালু হয়। পরবর্তীকালে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভলপমেন্ট সার্ভিস-এর হাতে।শুরুর দিকে সিঙ্গল ট্র্যাক জিগ ব্যাক সিস্টেমে এই রোপওয়ে চলতো। ১৯৯৫-'৯৬ সালে পুরোনো সিস্টেম বদলে মনোমেবল গন্ডোলা সিস্টেম চালু হয়। কিন্তু ২০০৩ সালে দার্জিলিংয়ে রোপওয়ে ছিঁড়ে চার পর্যটকের মৃত্যু হলে প্রায় আটবছর সেই সার্ভিস বন্ধ ছিল। ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নতুন করে এই পরিষেবা চালু হয়। তাতে পুরোনো রুট কিছুটা কাটছাঁট করা হয়। আপাতত যে রুটে রোপওয়ে চলছে তার দূরত্ব মাত্র ২.৩ কিলোমিটার। এটা অনেকটা জয়রাইডের মতো।
পরিকল্পনা কী?
বন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, দার্জিলিংকে আরও পর্যটকবান্ধব করে তুলতে বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরোনো রুটে আবার নতুন করে রোপওয়ে সার্ভিস চালু করা হবে। তার জন্য কোনও বেসরকারি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। বন দফতরের প্রস্তাব অনুযায়ী, দার্জিলিংয়ে যে পুরনো রোপওয়ে রুট ছিল, সেটিকে আমূল সংষ্কার করা হবে। তৈরি হবে নতুন টার্মিনাল। মধ্যবর্তী স্টেশনের সংখ্যাও বাড়বে। যাত্রীদের জিনিসপত্র রাখার জন্য বানানো হবে ক্লক রুম। পর্যটকদের সুবিধার্থে গাড়ি পার্কিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে। তবে এবার দার্জিলিংয়ের রোপওয়ে নতুন ভাবে চালু রাখার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে যাত্রী নিরাপত্তার ওপর। দার্জিলিং যেহেতু ভূকম্পপ্রবণ এলাকা তাই যথাযথ সমস্ত সুরক্ষা বিধি মেনে রোপওয়ের পিলারগুলি বানানো হবে। রোপওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে তাড়াতাড়ি যাত্রীদের নামিয়ে আনা যায় তার জন্য বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। তার জন্য অবশ্য প্রশিক্ষিত কর্মীদেরও নিয়োগ করা হবে।