Siliguri Bengal Safari Park Royal Bengal: প্রায় আড়াই মাস আগে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের পুরনো আবাসিক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার শীলা একসঙ্গে পাঁচটি শাবকের জন্ম দেয়ে। যা সাফারি পার্কের ইতিহাসে একবারে সবচেয়ে বেশি রয়্যাল শাবকের জন্ম। বৃদ্ধি। স্ত্রী বাঘ শীলা এবং পুরুষ বাঘ বিভানের শাবকগুলি এতদিন নাইট শেল্টারে মায়ের তত্বাবধানেই ছিল। বৃহস্পতিবার এদের বাইরে ছাড়া হয়।
জন্মের এক মাস পর নাইট শেল্টার থেকে বাইরে বের করা হল শীলা এবং তার সন্তানদের। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা সম্প্রতি পঞ্চমবারের জন্য মা হয়। এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেয় সে। সেই থেকে মা এবং সন্তানদের নাইট শেল্টারের মধ্যেই রাখা হয়েছিল। এই পাঁচটি শাবকের মধ্যে চারটি স্ত্রী এবং একটি পুরুষ বাঘ রয়েছে। বৃহস্পতিবার এদের ক্রালের (নাইট শেল্টারের পাশে খোলা জায়গা, যেখানে বাঘেরা খেলাধুলা করে) মধ্যে ছাড়া হয়।
সাফারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মা এবং সন্তান সকলেই ভালো রয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে এই শাবকদের জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে।
সব মিলিয়ে সাফারি পার্কে বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮। এর আগে দুটি বাঘ ত্রিপুরার সিপাইজলা চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছিল। এর আগে দুই দফায় ছয় শাবকের জন্ম দিয়েছে শীলা। এই ছয়টির মধ্যে পাঁচটি বাঘ বেঁচে রয়েছে। এই পাঁচটি বাঘই এখন সাফারি পার্কের দর্শকদের মনোরঞ্জন করে। তারাই এখন সাফারির পার্কের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
২০১৭ সালে শীলা ও স্নেহাশিস নামে দুটি বাঘকে সাফারি পার্কে আনা হয়েছিল। এরপরে স্নেহাশিস ও শীলা দম্পতি তিন শাবকের জন্ম দেয়। কিকা, রিকা ও ইকা। পরবর্তীতে ইকার মৃত্যু হয়। বাকি দুটি শাবক বড় হয়ে ওঠে। সেই সাদা বাঘ কিকাই পরে জোড়া শাবকের জন্ম দেয়।
গত বছরের শেষের দিকে শীলার সন্তান কিকা দুটি শাবকের জন্ম দেয়। কিকার সন্তানদের জন্মের পরেই সাফারি পার্কের চিকিৎসকেরা লক্ষ্য করে শীলার ব্যবহারে পরিবর্তন হয়েছে। কিছুদিন লক্ষ্য রাখার পর তাঁরা বুঝতে পারেন শীলা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এরপর থেকেই শীলাকে নাইট শেল্টারে বিশেষ যত্নে রাখা হয়েছিল শীলাকে। তিনবেলা পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হত। এরপর গত মার্চ মাসে একসঙ্গে পাঁচ সন্তান প্রসব করেছে শীলা। নাইট শেল্টারে থাকায় শাবকদের এখনও লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। এখন শাবকদের কাছে গেলে শীলা সন্তান পরিত্যাগ করতে পারে বলেই এখনই কোন ঝুঁকি নিতে চাইছেন না সাফারির কর্তারা।