Eco Tourism North Bengal: পর্যটনে বসতে লক্ষ্মী। আর পর্যটনের ঝোঁক এখন ইকো টুরিজমে। এ বিষয়টি এখন পরিষ্কার হওয়ায়, বন দফতর মরিয়া আরও নতুন ইকো পর্যটন কেন্দ্র খুঁজতে সমীক্ষা শুরু করেছে দফতর। পাহাড় ও লাগোয়া পাহাড়ের পাদদেশে ইকো ট্যুরিজম স্পটের খোঁজ শুরু করেছে তারা। দফতরের তরফে সঙ্গে নেওয়া হয়েছে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ‘ঐরাবত’কে। কার্শিয়াং ও দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ইকো ট্যুরিজম স্পটের খোঁজ শুরু হয়েছে।
কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে এখনও পর্যন্ত চারটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কার্শিয়াংয়ের ডিএফও দেবেশ পান্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একটা সমীক্ষা শুরু হয়েছে। কিছু কিছু এলাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্ট পুরো পেলে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। ঐরাবতের কর্ণধার অভিযান সাহা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে বন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেইমতো কাজ চলছে। সময়মতো বন দপ্তরকে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
কীভাবে কাজ হবে?
এক মাস ধরে জঙ্গলে ঘুরে সম্ভাবনাময় জায়গা খুঁজে বের করে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এরপর ওই রিপোর্ট পাঠানো হবে ডিএফওদের কাছে। সমীক্ষকরা ঘুরে ঘুরে সম্ভাব্য স্থানগুলো চিহ্নিত করে তালিকভুক্ত করে সেগুলোর ম্যাপ, কোঅর্ডিনেটস সহ সমস্ত তথ্য তৈরি রাখবে। সমীক্ষা শেষে পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট ডিএফওদের পাঠানো হবে।
পরবর্তী ধাপে তালিকা ধরে বন দফতর ওই এলাকায় নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণদের সমস্যা না করে এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে। এরপর কোয়ালিফায়েড জায়গাগুলি পাঠানো হবে অরণ্য ভবনে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত এলে শুরু হবে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার কাজ। অরণ্যের কলকাকলির কয়েকদিন কাটানো, প্রজাপতি নানা প্রজাতির পাখি, প্রজাপতি দেখার জন্য এ ধরণের জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেখানে বার্ড ওয়াচিং, নেচার ক্যাম্প, বাটারফ্লাই ওয়াচিং, ট্রেকিং ইত্যাদি নানা ব্যবস্থা থাকবে।
এরপর বামনপোখরি, বাগোরা, ডাউহিল সংলগ্ন এলাকাতেও হবে সমীক্ষা। এই ইকো ট্যুরিজম স্পটগুলোতে স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্যও নিয়ে যাওয়া যাবে।