Central Force Panchyat Election 2023: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের কাছে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই আবেদনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আপাতত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠিয়েছে। বাকি ৪৮৫ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিমাইন্ডার লেটার বা চিঠি দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি লিখেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশন সূত্রে খবর, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রবিবার আবার চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।
আরও পড়ুনঃ ইলিশের দামে অস্থির? বদলে এই মাছ খান, দামে সস্তা, মিলবে ভরপুর পুষ্টিও
আরও পড়ুনঃ ইলিশ-চিংড়ি ছাড়ুন, এমন মাছ আছে যার দাম একজনের সারাজীবনে আয়ের চেয়ে বেশি
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশমতো পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রের কাছে দু’বার মিলিয়ে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। এখনও পর্যন্ত অর্ধেক বাহিনীও রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি। এই অবস্থায় কেন্দ্রের কাছে আবার বাহিনী চাইল কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের নির্দেশ মতো প্রথমে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় নির্বাচন কমিশন। হাই কোর্টের ভর্ৎসনা এবং পুনরায় নির্দেশের পর কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের আবেদন মতো প্রথম ২২ কোম্পানি বাহিনী পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই বাহিনী ইতিমধ্যে রাজ্যে এসে পৌঁছে গিয়েছে। জেলায় জেলায় তারা রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে। পরে কেন্দ্রের তরফে ৮০০ কোম্পানির মধ্যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ করা হয়।
এদিকে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পেয়ে তা কেমন করে মোতায়েন করা হবে ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে গেলে এই সংখ্যায় তা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিতে পারা যাচ্ছে না। বাকি ৪৮৫ কোম্পানির সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অবস্থান জানতে পারলেই পুরো পরিকল্পনা করা সম্ভব বলে মনে করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা। তাই এই রিমাইন্ডার লেটার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে লেখা হয়েছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। আগেও একটা চিঠি লেখা হয়েছিল। যার উত্তর মেলেনি।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো–অর্ডিনেটর এবং অফিসাররা এসেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু তারপরও আর বাহিনী এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। আর বাহিনী মোতায়েনের সুবিধার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কবে কোথায় বাহিনী পাঠাতে হবে? আর সেটা লিখিতভাবে জানাতে হবে।