সপ্তাহ দুয়েক পর দীপাবলি (Diwali) উৎসব। আলো আর আতশবাজির রোশনাইয়ের উৎসব। করোনাকালে (Coronavirus) গতবছর নিষিদ্ধ ছিল আতশবাজি। চলতি বছর পরিস্থিতি খানিক উন্নতি হলেও পরিবেশ দূষণ আতশবাজিতে মাতোয়ারা হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। উৎসবের মরসুমের আগে, অনেক রাজ্য ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণের এড়াতে বাজির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। তবে অনেক রাজ্য আবার 'গ্রিন ক্রাকার্স' বিক্রি ও বিক্রির অনুমতি দিচ্ছে। 'গ্রিন ক্রাকার্স' অন্য আতশবাজির তুলনায় কম দূষণ ছড়ায়।
'গ্রিন ক্রাকার্স' কী?
বাজিতে কম ছাইয়ের ব্যবহার, কাঁচামালের ব্যবহার হ্রাস, গুণমান, ধুলো, ধোঁয়া দমনকারী পদার্থগুলি ব্যবহার করে তৈরি হয় আতশবাজি। সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড যার ফলে, ৩০ শতাংশ থেকে ২০ বস্তুকণা এবং বাকি ১০ শতাংশ বায়ু নির্গত হয়। এতে শব্দের মাত্রাও কম থাকে। দাম তুলনামূলক একটু বেশিই হয়। গ্যাস বেশি তৈরি হয় না।
'গ্রিন ক্রাকার্স' বুঝবেন কীভাবে?
NEERI মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ক্র্যাকার বক্সে QR কোড স্ক্যান করে 'গ্রিন ক্রাকার্স' শনাক্ত করা যেতে পারে। আবার 'গ্রিন ক্রাকার্স'-এর বাক্সের বাইরের সবুজ সঙ্কেতে 'গ্রিন' বলে লেখা থাকে।
কোথায় কোথায় বাজি নিষিদ্ধ?
ওড়িশা সরকার দীপাবলি উৎসবের মরসুমে বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিপিসিসি) ২০২০-র ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাজি বিক্রি ও ফাটানোর ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাজস্থান সরকার শুক্রবার একটি আদেশ জারি করে জানায়, শুধুমাত্র 'গ্রিন ক্রাকার্স' বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে।
দূষণের কথা মাথায় রেখে আমাদের রাজ্যেও 'গ্রিন ক্রাকার্স'-জ্বালানোর অনুমতি মিলতে পারে। তবে যেভাবে আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে সকলেরই উচিত পরিবেশের কথা মাথায় রেখে 'গ্রিন ক্রাকার্স'-এরই ব্যবহার করা। যাতে পৃথিবীকে রক্ষা করার দায়িত্ব সঠিভাবে পালন করা যায়।